
এস ইউ সুমন ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধি
এলাকায় পর পর লাগাতার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও এসবের লিডার তানভীর বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি আইডিতে ও বিভিন্ন পোস্টের কমেন্টে ধূরুয়া ঐতিহ্যবাহি ফকির বাড়ি নিয়ে প্রশ্নবোধক পোস্ট ও আপত্তিকর কমেন্ট করা হচ্ছে! এলাকাবাসীর তাদের কাছে অনুরোধ রাখছে এসব বিষয়ে এলাকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, নান্দাইল থানায় ও পূর্বকার মিডিয়ায় প্রচারিত নিউজ গুলোর প্রতি গুরুত্বারোপ করার জন্য। এলাকা বাসী বলেন প্রথমে তানভীররা ফকির বাড়ির কাউকে আক্রমণতো দুরের কথা কটাক্ষও করেনি। প্রায় তিন বছর হয় সে এলাকায় আত্মপ্রকাশ করে ও কিছু দান খয়রাতসহ ভাল কাজ দেখায়, এর মধ্যে কাঠলিপাড়ার সুজন সরকারসহ কয়েকজনকে আক্রমন করে, রসুলপুর সিলা বাজারেও অঘটন ঘটায়, ধূরুয়া মনারটেক আজিজুলের পরিবারের উপর চড়াও হয়, কাউকে কাউকে বাড়ি ছাড়াও করে ও চন্ডিপাশার চা দোকানি জুয়েলকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পঙ্গু বানিয়ে দেয়। এতসব ঘটনায় ফকির বাড়ির কেহ জড়ায়নি তবে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সবাই সর্বদায় চেষ্টা করেছে। গত সংসদ নির্বাচনের সময় অস্রসহ তানভীর গ্রেফতারের বিষয়ও আছে
কিন্তু তানভীরদের পুরাতন বাড়ির তার বাবার আপন চাচাতো ভাই নজরুল, মতি ও তাদের জামাইকে যখন বহিরাগতদের নিয়ে বাড়িতে গিয়ে হামলাকরে গুরুতর জখম করে তখনি ফকির বাড়ির একটা অংশ তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসে, চিকিৎসা করায় আর এ থেকেই ফকির বাড়ির লোক জনের প্রতি তানভীরের ক্ষোভ জন্মায়। তানভীরের পুরাতন বাড়ির চাচাদের বাড়িঘরে হামালা ও নজরুল, মতিসহ কয়েকজনকে মারপিটের পরে তানভীরের চাচারা ও চাচাতো ভাইয়েরা তানভীরদের নতুন বাড়িতে আক্রমণ করে কিছু দরজা জানালা নষ্টকরে। অবশ্য এখানে ফকির বাড়ির কয়েক জনকে নিয়ে যায় তানভীরের বংশের লোকেরাই।
তানভীরের বাড়িতে আক্রমণ করলে আবার ফকির বাড়ির লোকেরাই গিয়ে সবাইকে থামায় ও ফিরিয়ে আনে। পরের ঘটনা আক্রমণ কারিদের ফাঁসাতে তানভীররা এক পতিত ঘরে আগুনদিয়ে মামলা করে ফকির বাড়ির লোকজনের নামে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানুয়াট। তার পর এসবের বিরুদ্ধে ও তানভীরের জঘন্য কর্মকান্ডের বিচারের দাবিতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে ধূরুয়া সঃ প্রাঃ বিদ্যালয়ের মাঠে সংবাদ সম্মেলন করে এলাকার জনগণ ও ক্ষতিগ্রস্থরা।
এসব নিউজ ফেসবুক, স্থানীয় ও জাতীয় মিডিয়ায় প্রচারসহ মামলাও হয় কিন্তু কোন বিচার বা মিমাংশা হয় নাই! মূলত এর জেরেই তানভীর ফকির বাড়ির লোকজনের প্রতি ক্ষেপেছে আর এক জনের পর এক জনকে ধরে ধরে পঙ্গু বানাচ্ছে। গত একমাস আগে ফকির বাড়ির আরমানকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয় ও মারপিট করে মৃতভেবে ত্রিশালের একস্থানে পেলে রাখে।
তারসাথে থাকা ৭০হাজার টাকা একটি বিদেশি মোবাইলসহ ২টি মোবাইল একটি টর্সলাইট বিদেশি ও শীতের জ্যাকেট ও সু জুতা গুলোও নিয়ে যায়।
আরমান এখনো চিকিৎসাদিন তবে পঙ্গুত্ব নিশ্চিত।
এর মাঝে গত পরশুদিন ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯ টার দিকে বাজার থেকে আসার সময় ফকির বাড়ির মরহুম হাতেম তালুজদারের ছেলে ফয়সালকে হোন্ডা আটকিয়ে এলো পাতারি কুপায় তানভির গংরা।
বর্তমানে সেও মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লরছে বাঁচলেও পঙ্গু।
এতসবের পরেও কিন্তু তানভীর থামছেনা, একের পর এক পোস্ট ও কমেন্টকরে হত্যার হুমকি চালিয়ে যাচ্ছে।
এলাকাবাসী বলেন দেখারমতো কেহ মনে হয় নাই। এলাকাবাসী ময়মনসিংহ ও নান্দাইলের প্রশাসনিক ব্যবস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদাসীনতা ও নীতিহীনতাকে দায়ী করছে। এভাবে যদি চলতে থাকে তবে এলাকার আইনশৃঙ্খলা মারাত্মক অবনতি ঘটবে তাতে সন্দেহ নেই। তানভীররা যাদের আঘাত করছে ও মারছে তারা কোন রকম প্রাসাসনিক সহযোগিতা পাচ্ছেনা বলে তারা দাবি করেন।
এলাকাবাসী বলেন শুধু তানভীররা মেরেই যাচ্ছে, তবে পরিস্থিতি যদি পাল্টে যায় আর আক্রান্তরা তানভীরের উপর প্রতিশোধ নিতে যায় তখন পরিস্থিতি কিরূপ ধারণ করতে পারে বিজ্ঞমহলের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন?