ভাষা শহীদদের প্রতি মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের পুষ্পস্তবক অর্পণ

আব্দুল্লাহ আল মামুন, যশোর

রক্তে আমার আবার প্রলয় দোলা/ফাল্গুন আজ চিত্ত আত্মভোলা/আমি কি ভুলিতে পারি/একুশে ফেব্রুয়ারি। চেতনার পথে দ্বিধাহীন অভিযাত্রী বেশে বাঙালিকে সর্বদা চলার প্রেরণা জোগায় একুশ। আজ সেই অমর একুশে। শোক বিহ্বলতা, বেদনা আর আত্মত্যাগের অহংকারে উদ্বেলিত হওয়ার দিন।

সাহস, প্রত্যয় আর উদ্দীপনায় সব প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে সামনে এগিয়ে যাওয়ার দিন। একই সঙ্গে আজ ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’। আজকের দিনটি প্রত্যেক বাঙালির পাশাপাশি পৃথিবীর তাবৎ মাতৃভাষাপ্রেমীর রক্ত টগবগে চেতনায় শানিত হওয়ার দিন। আজ বাংলাদেশের পাশাপাশি ইউনেস্কোর ১৯৫টি সদস্য এবং ১০টি সহযোগী সদস্য রাষ্ট্র পালন করবে আমাদের একুশকে। পৃথিবীর ৬ হাজার ৯০৯টি ভাষার মানুষ পালন করবে দিবসটি।

মণিরামপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মূল বেদিতে ২১শে ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টায় পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাব। এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন, সহ-সভাপতি সুমন চক্রবর্তী, ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক এইচএম আব্দুলাহ আল মামুন, সদস্য সাব্বির হাসান, সদস্য নয়ন হাসান, সদস্য মাসুম বিল্লাল প্রমূখ।
ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে সাংগঠনিক আলোচনা সভায় মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ‘আসুন দলমত নির্বিশেষে একুশের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে মণিরামপুরের সামগ্রিক উন্নয়নে কাজ করি এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখি।
সভাপতির বক্তব্যের সাথে সহমত প্রকাশ করে মণিরামপুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সহ-সভাপতি সুমন চক্রবর্তী বলেন, একুশের চেতনা আমাদের আত্মমর্যাদাশীল করেছে। একুশ মানেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে দ্রোহ, প্রতিবাদ আর যাবতীয় গোঁড়ামি ও সংকীর্ণতার বিরুদ্ধে শুভবোধের অঙ্গীকার। যে কারণে ১৯৫২ সালে সেই পলাশরাঙা প্রভাতের সূর্য অমিত সম্ভাবনার যেই স্বপ্ন-প্রত্যয় জাতির হৃদয়ে বপন হয়েছিল, সেই তেজোদীপ্ত বিদ্রোহের সুর আজও প্রতিটি ক্রান্তিকালে ধ্বনিত হয় বাঙালির হৃদয়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *