প্রশাসনের সর্বস্তরের উপস্থিতি সত্ত্বেও কি অভিভাবকহীন বাংলাদেশ? দেশের বর্তমান পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে?


সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার- জাহারুল ইসলাম জীবন এ-র অনুসন্ধানী প্রতিবেদনঃ-
৫ই আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে বাংলাদেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়েছে, তা বর্তমানে চরম অরাজকতার রূপ নিয়েছে। সন্ত্রাসী হামলা, চাঁদাবাজি, জমি দখল, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জবরদখল, হত্যা, নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, চুরি-ডাকাতি-ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাগুলো ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে। এর পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে।
এই পরিস্থিতির জন্য অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক মহল, দেশি-বিদেশি নানামুখি ষড়যন্ত্র ও প্রশাসনের দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা এবং কিছু নামসর্বস্ব তরুণ অরাজনৈতিক ও রাজনৈতিক নেতাকে দায়ী করচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে, কিছু নামসর্বস্ব তরুণ রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন দলের গোপন নেতা এবং প্রশাসনের সর্বস্তরের কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা অবৈধভাবে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য চিরচারিত নিয়মে লিজরিবৃত্তি ও নীরবতা অবলম্বন করছেন। এদের যোগসাজশেই মূলত দেশে অরাজকতার অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে।
এহেন পরিস্থিতিতে বর্তমানে দেশের জননিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক অবস্থা চরম হুমকির মুখে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দিন যত-ই যাচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটও প্রকট আকার ধারণ করেছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
সমাধান কল্পে দেশের এই মুহূর্তের চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য কিছু জরুরী পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে।
যেমুন প্রথমত প্রশাসনের স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা,আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি করণ, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা জরুরী ভিত্তিতে ফিরিয়ে আনা সহ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকারি বেসরকারিভাবে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ পূর্বক সামাজিক সচেতনতা মূলক প্রচার-প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে হইবে।
সর্বোপরি দেশের বর্তমান এই চরম সংকটাপূর্ণ মূহুর্ত থেকে উত্তরণের জন্য সরকার, রাজনৈতিক দল, সুধী সমাজ সহ প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ- সকলকে দেশের ও দেশের মানুষের স্বার্থে সম্মিলিতভাবে কাজ করার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *