
মোঃ হামিদুজ্জামান জলিল, স্টাফ রিপোর্টারঃ-
দক্ষিণাঞ্চলের মাদকের মাফিয়া হিসেবে পরিচিত ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী নোমানীর বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন তার দ্বিতীয় স্ত্রী শবনম মুস্তারী। মামলাটি আমলে নিয়ে আসামির বিরুদ্ধে W/A ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহ প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সঞ্জয় পাল। শিবলী নোমনী কালীগঞ্জ উপজেলার আড়পাড়া এলাকার মোমিন মৌলভীর ছেলে। তিনি দেশে সর্বশেষ অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। গত ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছেন। মামলার এজাহারে শবনম মুস্তারী উল্লেখ করেছেন, ২০০৮ সালের ১৬ এপ্রিল তাদের বিয়ে হয়। তাদের ১২ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালই চলছিল। বিয়ের সময় যৌতুকের কোন কথাবার্তা ছিল না। হঠাৎ ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে বসেন তার স্বামী শিবলী নোমানী। যৌতুকের জন্য তাকে শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করলে ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে তিনি পিতার বাড়িতে থাকা শুরু করেন। মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর শিবলী নোমানী তাদের বাড়ি আসেন। সে সময় স্ত্রীর মর্যাদায় স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে আবারো ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। শবনম মুস্তারী মামলার কথা স্বীকার করে জানান, তিনি একটি যৌতুক বিরোধী আইনে মামলা করেছেন। এখনো মামলা চলছে। মামলা করার পর থেকে বিভিন্নভাবে তাকে হুমকি-ধামকি দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে শিবলী নোমানী একটা ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছেন। সেটি গ্রহণ করিনি। তিনি আরো বলেন, হুমকি-ধামকি দেওয়ার ঘটনায় শিবলী নোমানী ও তার বড় স্ত্রী, তার ছেলেসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলা দায়ের করেছি। এ ব্যাপারে শিবলী নোমানীর মোবাইলে বক্তব্য নেওয়ার জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। শিবলী নোমানীর বিরুদ্ধে শিবির নেতা আবুজর গিফারী হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এছাড়াও সে বিগত সরকারের সময়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। কালীগঞ্জ এলাকায় এখনো তার অনুগতরা মাদক কারবার নিয়ন্ত্রন করছে বলে অভিযোগ আছে।