
ব্যুরো চীফ, মাদারীপুর ।
আগামী ১৫ মার্চ জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের হল রুমে এক প্রস্তুতি সভার আয়োজন করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য, পরিবার ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা শামিম আহমেদ এর সভাপতিত্বে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট সকল ডাক্তার, নার্স ও সকল কর্মচারী এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।
সভাপতি তার সুচনা বক্তব্যে মাঠ কর্মিদের উদ্দেশ্যে বলেন ভিটামিন এ শুধুমাত্র অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে শিশুদের রক্ষা করে তাই নয়, ভিটামিন এ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ডাইরিয়ার ব্যপ্তিকাল ও জটিলতা কমায় এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।
বাংলাদেশে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত সমস্যা প্রতিরোধে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রনালয়ের অধীনে জাতীয় পুষ্টিসেবা, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান বছরে দুইবার জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকে।
ভিটামিন এ ক্যাপসুল ভরাপেটে খাওয়ানো ভাল। ভিটামিন এ ক্যাপসুল শিশুর জন্য সম্পুর্ণ নিরাপদ। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ালে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার তেমন কোন ঝুঁকি নেই। যদি কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় তাহলে সাথে সাথে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে বলবেন। আরো বলেন জন্মের পর পরই নবজাতককে শালদুধসহ মায়ের দুধ খাওয়াতে পরামর্শ দিবেন। জন্মের পর প্রথম ছয় মাস শিশুকে শুধুমাত্র মায়ের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে। পানি, মধু,চিনি বা মিস্রির পানি ইত্যাদি খাওয়ানো যাবে না। শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমানমত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়াতে পারবে। মা এবং শিশুর পুষ্টির জন্য গর্ভবতী ও প্রসুতি মা’কে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমানে ভিটামিন ‘এ’ প্রানিজ খাবার ( মাছ,মাংস ডিম, দুধ কলিজা ইত্যাদি) ও উদ্ভিজ্জ খাবার ( হলুদ ফলমুল ও রঙিন শাক সবজি) খাওয়াতে হবে।
এখানে উপস্থিত সকলেই মনোযোগ সহকারে শুনুন, কোনভাবেই শিশুকে আস্ত বা খোসাসহ ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। সবগুলো ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল একসাথে কেটে রাখা যাবে না। প্রতিটি শিশুকে খাওয়ানোর আগে একটি করে ক্যাপসুলের মুখ কেটে ভিতরের তরল টুকু সঙ্গে সঙ্গে খাইয়ে দিতে হবে। কোন শিশুই যেন ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়া থেকে বাদ না পড়ে সেদিকে সুদৃষ্টি রাখতে হবে।