
সাইদ গাজী, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ফরিদপুরের সালথা উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের সোনাপুর বাজারের বিভিন্ন স্থানে মুহাম্মদ সরোয়ার হোসেন এর ঈদের শুভেচ্ছা মূলক পোস্টার শত্রুতা করে রাতের আঁধারে ছিঁড়ে ফেলা হয়েছে।
যেমন সোনাপুর বাজারের নতুন ব্রীজের পশ্চিম পাশে টানানো ব্যানার ও ব্রীজে লাগানো পোস্টার, বাজার মসজিদের সামনে টানানো ব্যানার ও বাচ্চু মাতুব্বরে বিল্ডিং এ টানানে ব্যানার ও অন্নান্য স্থানের পোস্টার গুলো ছিঁড়েফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে এ সময়ের জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম দৈনিক সংবাদ প্রতিদিনকে মুহাম্মদ সরোয়ার হোসনে বলেন, আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে, কিছু ব্যক্তি বা গোষ্ঠী জনসাধারণের বা প্রতিষ্ঠানের প্রচারের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা পোস্টারগুলো অযথা ছিঁড়ে ফেলছেন। এটি একটি অসাধু ও অনৈতিক আচরণ, যা আমাদের সমাজের উন্নতির পথে বাধা সৃষ্টি করে।
পোস্টার, যা বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক বা রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছানোর এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম, তা ছিড়ে ফেলা শুধু নিজের অসন্তোষ প্রকাশ নয়, বরং পুরো সমাজের শৃঙ্খলা ও শান্তির প্রতি অসম্মান।
আমি আহ্বান জানাই, সবাই যেন এই ধরনের কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকে এবং সম্মান ও শালীনতার সঙ্গে সমাজে সবার অধিকারকে সম্মান জানায়।আমি আহ্বান জানাবো আমাদের সালথা উপজেলা প্রশাসন কে আপনারা এ ধরণের অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা যায় কিনা একটু ভেবে দেখবেন।
পোস্টার ছিঁড়া বা পোস্টার ভাংচুর একটি অপরাধ হতে পারে, বিশেষত যদি এটি সরকারি বা ব্যক্তিগত সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করার উদ্দেশ্যে করা হয়। এটি সাধারণত সম্পত্তি ধ্বংস বা ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং এর জন্য আইনগত শাস্তি থাকতে পারে। শাস্তি দেশে বা অঞ্চলে আইন অনুসারে ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত এ ধরনের অপরাধে জরিমানা বা কারাদণ্ড হতে পারে।
এছাড়াও, রাজনৈতিক বা বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পোস্টার ছিঁড়লে তা ভিন্ন ধরনের আইনি পদক্ষেপের জন্ম দিতে পারে, যেমন নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন বা বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতা বিরোধী আচরণ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাখাওয়াত হোসেন জয়নাল (প্রফেসর সালথা স: কলেজ) বিএনপি নেতা, ও সোনাপুর বাজারের সভাপতি তিনি বলেন আমি কিছুদিন যাবৎ এলাকার বাইরে আমি এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছিনা, তবে এটি একটি ঘৃণিত কাজ এ ধরণের কাজ কে আমি ঘৃণা করি। এ কাজ যারা করেছে তাদের শাস্তি দাবী করি।
এ ব্যাপারে সোনাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খায়রুজ্জামান (বাবু ) মোল্লা বলেন এটি একটি শাস্তি যোগ্য অপরাধ আমি মনে করি এ ধরণের কাজ যারা করেছে তাদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। যে কোন মানুষ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে পারে তা সেটা হোক নির্বাচন কেন্দ্রিক অথবা ভালবাসা কেন্দ্রিক।
সোনাপুর ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ আজিজুল হক বলেন পোস্টার ছিঁড়াএকটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ এদের শাস্তি হওয়া উচিৎ এর সাথে আমি আরো বলতে চাই শান্ত সোনাপুর ইউনয়ন কে যারা অশান্ত করতে চাচ্ছেন তারা সাবধান হয়ে যান কারণ আমাদের নেত্রী শামা ওবায়েদ রিংকু ইসলাম কোন অপকর্ম ও গন্ডগোল ফ্যাসাদ পছন্দ করেননা।
এ ব্যাপারে সোনাপুর বাজারে অবস্থানকৃত লোকজন বলেন এটি একটি খারাব কাজ, যে কেউ যে কোন ধরণের পোস্টার লাগাতে পারে সেক্ষেত্রে এ ধরণের পোস্টার ছিড়া ভাল কাজনয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন সোনাপুরে একটি আ‘লীগ বিএনপি মিশ্রিত দল রয়েছে ( আ“লীগ পদধারী লোকজন বিএনপির ছত্রছায়ায় রয়েছে )যারা এ ধরণের কার্য্যকলাপে জড়িত থাকতে পারে। পোস্টার ছিঁড়ে হয়ত তারা এই শান্ত সোনাপুর ইউনিয়কে তথা সোনাপুর বাজার কে অশান্ত করতে চাচ্ছে।