অভয়নগরে কলেজের জমি দখলকে কেন্দ্র করে কৃষকে মারপিট

যশোরের অভয়নগরে কলেজের জমি দখলকে কেন্দ্র করে মারধরের অভিযোগ।
ঘটনাটি ঘটেছে যশোরের অভয়নগর উপজেলার শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের মথুরাপুর গ্রামে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় শ্রীধরপুর ইউনিয়ন কলেজের জমির মধ্যে মহিউদ্দিন মল্লিক গংদের ৪৫ শতক জমি নিয়া বিবাদীদের সাথে বিরোধ চলছে।
বিবাদীরা উক্ত কলেজের জমি তাহাদের বলে দাবি করিয়া গত ইং ১৭/০২/২৫ তারিখে উক্ত জমিতে থাকা ধান গাছসহ জমিতে পিলার পুতিয়া জমির দখল নেয়। কলেজ বন্ধ থাকার কারণে কেউ বাধা দিতে পারে নাই। পরবর্তীতে ১৪/০৩/২৫ ইং তারিখে আমরা এলাকাবাসীর সহায়তায় আবারো কলেজের জমি থেকে বিবাদীদেরকে বিতাড়িত করি। এমতবস্থায় গত ইং ১৯/০৩/২৫ তারিখ বিবাদীরা জমিতে ঔষধ দিতে আসলে আমি সহ আমার পরিবারের লোক বাধা দিতে গেলে আনুমানিক সকাল ১০:০০ ঘটিকার সময় বিবাদীরা আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে, বিবাদীরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা সহ ১ নং বিবাদী শাহাজাহান মল্লিক (৬৫) পিতা: মৃত গোলাম মল্লিক সং মথুরাপুর এর হুকুমে ২। মফিজ মল্লিক পিতা: গোলাম মল্লিক, ৩। আরিফ (৪৫) পিতা মৃত আবু বক্কার মোল্লা, ৪।আবির মোল্লা (২৪) পিতা: আরিফ মোল্লা, ৫। নাজমুল ( ২৮) পিতা: ঈমান ফকির সর্ব সাং : পুড়াখালি থানা: অভয়নগর জেলা: যশোর সহ অজ্ঞত ১৫/২০ জনে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করে। এ সময় সঙ্গীও মুরাদ হোসেন (২০) পিতা: নুর ইসলাম আগাইয়া আসলে তাকেও মারধোর করতে শুরু করে।
আমিও মুরাদ বাড়ির দিকে দৌড় দিলে বিবাদীরা আমাদেরকে ধাওয়া করিয়া আমাদের বাড়ির মধ্যে চলিয়া আসি। আমার স্ত্রী রেহেনা বেগম (৪০) এবং আমার ভাই জাহিদুল এর স্ত্রী মিনু বেগম ঠেকাতে আসলে তাদেরকেও মারধর করে এবং কয়েকজন বিবাদী আমাদের বসত ঘরে প্রবেশ করিয়া ঘরের শোকেচের মধ্যে রক্ষিত আমার ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য নগদ তিন লক্ষ টাকা চুরি করিয়া নেয়। তাছাড়া ৩ নং বিবাদী আমার স্ত্রীর গলায় থাকা ০১ ভরি ০৬ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন (যাহার বাজার মূল্য ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা) নিয়া যায় এবং ৫ নং বিবাদী আমার ভাই জাহিদুল এর স্ত্রীর গলায় থাকা ০১ভরি ০৮ আনা ওজনের চেইন (যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা) নিয়া যায়
এ সময় সাক্ষী ১। শফিয়ার শেখ ( ৬০) পিতা: মৃত ইশারত শেখ,২। জাহাঙ্গীর মল্লিক ( ৪০) উভয় সাং মথুরাপুর থানা: অভয়নগর জেলা যশোর সহ আরো অনেকে আগাইয়া আসিলে বিবাদীরা আমাকে ও আমার পরিবারের লোককে দেখে নেবে বলে হুমকি প্রদান করিয়া চলে যায়। আমার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয় সাক্ষীদের সহযোগিতায় যশোর সদর হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করি। আমি চিকিৎসা শেষে স্থানীয়ভাবে কোন সুবিচার পাই নাই।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ এর সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *