
মুহাম্মাদ আনিসুর রহমান – বিভাগীয় ব্যুরো চীফ।
সি এস খতিয়ান মূলে জমি ক্রয় করা হয়েছে ১৯৫৬ সালে, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ হয় ১৯৬৫ সালে, ফলে অন্যান্য আসবাবপত্রের সাথে মূল দলিলটি ভস্মীভূত হয়। সিরাজগঞ্জে আর এস জরিপ হয় ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৮০/ ৮১ সাল পর্যন্ত। আর উক্ত জমির সার্টিফাইড কপি সংগ্রহ করা হয় পাবনা থেকে ১৯৯৭ সালে যার ফলে আর এস জরিপের সময় দলিল দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় দাগের পুরো অংশই এজমালিভাবে রেকর্ড হয়ে প্রকাশিত ও প্রচারিত হয়েছে। ২০১৫ সালে করণিক ভুল উল্লেখ করে রেকর্ড সংশোধনীর জন্য আবেদন করা হয় সহকারী কমিশনার ভূমি বরাবর। তখন কাগজপত্রাদি যাচাই করে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আদালতের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধনের রায় আনার পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী সিরাজগঞ্জ সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা দায়েরের মাধ্যমে এক তরফা রায়ও হয় বাদীপক্ষে যার অপর প্রকার মামলা নং ৫৭০/২০২১। রায়ের কপি সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর জমা দিলে একাধিকবার তারিখ দেয়া হয় ও বিগত ১৪/০১/২০২৪ তারিখে চূড়ান্ত রায় প্রদান করে কপি রেকর্ড রুমে ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসে প্রেরন করা হয়। তদানিন্তন অফিস সহকারী আব্দুস সাত্তার আজকের গোয়েন্দা সংবাদকে এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। কিন্তু কী কারণে এখনও সে রেকর্ড সংশোধন হয় নাই এর ব্যাখা কেউ দিচ্ছেন না। রেকর্ড রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারী কমিশনার প্রতীতি পিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে উনি রেকর্ড রুমে যাওয়া নিষেধ করেন, কারণ জানতে চাইলে সাবেক জেলা প্রশাসক মীর মাহবুবর রহমানের উদ্ধৃতি দেন। সর্বশেষে বর্তমান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর সাথে তার কার্যালয়ে একাধিকবার দেখা করে বিষয়টি অবগত করলে উনি রায়ের একটি কপি তাকে দিতে বলেন। রায়ের কপি তাকে দেয়া হয়, তাও প্রায় মাসাধিক কাল আগের কথা। আজকে ফোন দিয়ে অন্যান্য বিষয়ের এ ব্যাপারটি উল্লেখ করলে উনি ভুলে গেছেন এবং আবারও একটি কপি তার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে পাঠাতে বলেন। সে অনুযায়ী আজ আবারও ওনার হোয়াটসঅ্যাপ নাম্বারে একটি কপি পাঠানো হয়। সবকিছু মিলিয়ে একটা রেকর্ড সংশোধন করতে প্রায় চার বছর পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সমাধান হয়নি। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব মোখলেছুর রহমানকে ফোন দিলে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা সন্তোষ চন্দ্র পাল বিভাগীয় কমিশনারকে জানাতে বলেন। বিভাগীয় কমিশনারের ল্যাণ্ডফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও যোগাযোগ করা যায়নি। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ জনগণের মনে প্রশ্ন কবে নাগাদ কবে নাগাদ হয়রানি মুক্ত ভূমি সেবা পাওয়া যাবে!