
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার- জাহারুল ইসলাম জীবন
পবিত্র রমজান মাসের শেষে খুশির বার্তা নিয়ে আসে ঈদুল ফিতর। এই ঈদে পরিবারের সবার জন্য নতুন জামাকাপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার ধুম পড়ে যায়। যদিও বর্তমানে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা বেশ নাজুক, তবুও মানুষ তাদের সাধ্যমতো ঈদ উদযাপনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ কঠিন ও নাজুক। এই নাজুক অর্থনৈতিক সংকটের কারণে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর জন্য ঈদ উদযাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার কারণে, মানুষের বাড়তি খরচ করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
শহরের বড় শপিং মলগুলোর তুলনায় গ্রামীণ হাট-বাজার বা ওপেন মার্কেটগুলোতে জিনিসপত্রের দাম তুলনামূলকভাবে কম। তাই, নিম্ন ও মধ্যবিত্ত পরিবারের পাশাপাশি উচ্চবিত্তরাও কেনাকাটার জন্য এসব বাজারে ভিড় করছেন। এর ফলে, গ্রামীণ হাট-বাজারগুলো ঈদের কেনাকাটার অন্যতম প্রধান কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে এবং গ্রামীণ হাট-বাজারের গুরুত্ব পূর্বের ন্যায় বৃদ্ধি পাচ্ছে।
অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতা থাকলেও, ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে মানুষ চেষ্টা করছে। তারা চায়, এই আনন্দ যেন সবাই মিলেমিশে উপভোগ করতে পারে। গ্রামীণ হাট-বাজারে কেনাকাটার মাধ্যমে, মানুষ একে অপরের সাথে পরিচিত হচ্ছে, কথা বলছে এবং সামাজিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যের মিলন বন্ধন সু-দৃঢ় হচ্ছে।
ঈদের আনন্দ উদযাপনের প্রস্তুতি আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। তাই, কেনাকাটার জন্য মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে। অনেকেই তাদের সাধ্যমতো পোশাক ও অন্যান্য জিনিসপত্র কিনছেন। ঈদকে ঘিরে গ্রামীণ হাট-বাজারগুলো সেজে উঠেছে নতুন রূপে, যেখানে সব শ্রেণীর মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে আসছে।
বিশেষজ্ঞ ও সুধীজন সহ অধিকাংশ অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে ঈদের কেনাকাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা মনে করেন, সরকারের উচিত দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে ঈদ আনন্দ সম্মিলিতভাবে উদযাপন করতে পারে।
সর্বোপরি অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও, ঈদুল ফিতর বাংলাদেশের মানুষের জন্য আনন্দের বার্তা নিয়ে এসেছে। গ্রামীণ হাট-বাজারগুলোতে মানুষের ভিড় প্রমাণ করে, তারা তাদের সাধ্যমতো ঈদ উদযাপন করতে প্রস্তুত। এই ঈদ যেন সবার জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনে, এটাই সকলের প্রত্যাশা।