
ব্রাহ্মণপাড়ায় ভয়ংকর ভূমি দস্যু আক্তার হোসেনের তাণ্ডবে দিশেহারা এলাকাবাসী
নিজস্ব প্রতিবেদক
জালিয়াতির রাজত্ব—ভূমি দখলের মহোৎসব! কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলায় এক চিহ্নিত ভূমি দস্যু আক্তার হোসেনের অত্যাচারে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সাধারণ মানুষ। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে সে জাল দলিল, ভূয়া খতিয়ান তৈরি করে নিরীহ মানুষের জমি দখল করে আসছে। ব্রাহ্মণপাড়া সদরের মৃত আবদুর রহমানের ছেলে আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসী বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দায়ের করলেও তার দৌরাত্ম্য থামেনি।
স্থানীয়রা জানান, আক্তার হোসেনের নেতৃত্বে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে ব্রাহ্মণপাড়া ও আশপাশের এলাকায় ভূমি দখল করে আসছে। ভূমি দস্যুতার পাশাপাশি সে নারী গ্যাং রাজনীতির মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। অসহায় পরিবারগুলো প্রতিনিয়ত ভয় ও আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করছে।
প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতা—প্রশ্রয়ে বাড়ছে ত্রাস! ভুক্তভোগীরা জানান, আক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বহুবার অভিযোগ জানানো হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং স্থানীয় থানায় একাধিক লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। কিন্তু রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিছু প্রভাবশালী মহল আক্তারকে রক্ষা করার জন্য সর্বদা সক্রিয় থাকে। তাদের ছত্রছায়ায় থেকে সে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
ভূমিদস্যুর কবলে নিঃস্ব অসহায় পরিবার! দীর্ঘভূমি গ্রামের এক ভুক্তভোগী প্রবাসী মতিউর রহমান হেলাল জানান, “আমাদের পারিবারিক জমি জালিয়াতির মাধ্যমে দখল করে আক্তার হোসেন আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। শুধু আমার পরিবারই নয়, প্রায় ৫০ থেকে ৬০টি পরিবার তার চক্রান্তের শিকার হয়েছে।”
এলাকাবাসীরা জানান, আক্তারের দখলদারির কারণে বহু পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিছু পরিবার এখনো তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে সাহায্য চেয়ে আসছে।
দখলদারের ফাঁসি চাই—এলাকাবাসীর জোরালো আন্দোলন!
ভুক্তভোগীরা আক্তার হোসেনের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
একজন ভুক্তভোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “এই ভূমিদস্যুর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করতে হবে। সে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। সরকারের উচিত দ্রুত তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।”
স্থানীয় জনগণের দাবি, আক্তার হোসেনকে আইনের আওতায় এনে তার অপকর্মের কঠোর বিচার করা হোক, যেন আর কেউ সাধারণ মানুষের জমি দখল করে অপরাধ করতে সাহস না পায়।