
“মোঃ ইদ্রিস আলী” ক্রাইম রিপোর্টার,
ময়মনসিংহের নিষিদ্ধ পল্লী থেকে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করা এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার বউবাজার এলাকার মোছাঃ উম্মে সালমা (১৮) নামের এই তরুণীকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারকারীরা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, সাত দিন আগে উম্মে সালমা খাতুন কে চাকরির আশ্বাস দিয়ে ময়মনসিংহে নিয়ে আসে । এরপর নিষিদ্ধ পল্লীর কুখ্যাত সরদারনি লাভলী তাকে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেন। এই চক্রের সঙ্গে আরও কয়েকজন দালাল জড়িত রয়েছে, যারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চাকুরির প্রলোভন কিংবা প্রেমের ফাঁদে ফেলে মেয়েদের এনে এই পল্লীতে বিক্রি করে।
বিশ্বস্ত সূত্রে এই তথ্য পাওয়ার পর প্রশাসনের কর্মকর্তারা দ্রুত পদক্ষেপ নেন। মানবাধিকার সংগঠনের সভাপতি ও সাংবাদিক রহমান সাদেক এবং ময়মনসিংহ গণমাধ্যম কর্মী মোঃ বিল্লাল হোসেন মানিক কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ২৭ মার্চ পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে।
উদ্ধারের পর উম্মে সালমা খাতুনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে এবং তারা দ্রুত ময়মনসিংহ এসে মেয়েটিকে নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে। এ ঘটনায় সরদারানী লাভলী সহ দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মামলা ও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। প্রশাসন আশ্বাস দিয়েছে, এই চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে।
এর আগেও এ রকম ঘটনা একাধিক বার ঘটেছে।
এ ঘটনার মাধ্যমে ময়মনসিংহের নিষিদ্ধ পল্লীতে গোপনে চলা মানব পাচার ও দেহ ব্যবসার ভয়াবহতা আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সাধারণ মানুষ ও মানবাধিকার কর্মীরা।