টিকটক করতে গিয়ে ট্রেনের ছাঁদ থেকে পড়ে অকাল মৃত্যু – কাইয়ুম

নিজস্ব প্রতিবেদক : মো: সেলিম রানা

কুমিল্লা, দেবিদ্বার উপজেলার, বাউরা গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কাইয়ুম সরকার,( ০২এপ্রিল )আজ কুমিল্লা থেকে সিলেট যাওয়ার জন্য রওনা দেন। ঈদ উপলক্ষে আনন্দ করার জন্য বন্ধুদের সাথে ঘুড়তে বের হয়।

কাইয়ুমের সাথে আরও চারজন ছিলেন, তারা টিকটক করার জন্য ট্রেনের ছাঁদে উঠেন। কুমিল্লা থেকে ট্রেনে ছাঁদে মজা মাস্তি করতে করতে তারা আখাউড়া জংশনের কাছাকাছি যায়। মোবাইলে ভিডিও করে টিকটক করে পোস্ট করার পরপর আনুমানিক ১২টার সময় গঙ্গাসাগর রেলব্রিজের নিকট ভিডিও করার নেশায় থাকা অবস্থায় উপর দিয়ে ডিস লাইন থাকায়, হঠাৎ আটকে যাওয়ায় তারা চারজন ট্রেন ছাদ থেকে গড়িয়ে পড়ে যায় । তাদের মধ্যে ৩ জন ব্রিজের রেলিং এ সাথে লেগে সোজা পানিতে পড়ে যায় এবং ০১ একজন রেললাইনের উপড়ে পড়ে সাথে সাথে মৃত্যু হয়।

অনা’কা’ঙ্ক্ষি’ত দূ”র্ঘ”ট”নায় হঠাৎ স্থানীয় লোকেরা দেখতে পায়। স্থানীয় লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে ব্রিজের নিচে পড়ে যাওয়া তিনজন যুবককে খোঁজাখুঁজি করে পানি থেকে তুলে নিয়ে হসপিটালে পাঠান।
চারজনের মধ্যে ০২ জন সাথে সাথে মৃত্যু নিশ্চিত করেন আখাউড়ার পুলিশ ।
তাদের দুজনের মধ্যে ০১ জন দেবিদ্বার বাউরা গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ কাইয়ুম সরকার অন্য একজন হলেন কসবার তারেক নামে এক যুবক। অন্য দু’জন যুবকদের বাঁচানোর জন্য স্থানীয় লোকেরা হসপিটালে পাঠান। আখড়ার পুলিশ বলেন, এই চারটি ছেলে কোন স্টেশন থেকে উঠেছেন আমরা এখনো নিশ্চিত করতে পারিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে করিমের ছেলে মোহাম্মদ কাইয়ুম একজন শখিন,লোক, এলাকায় খুবই ভদ্র প্রকৃতির ছেলে ছিলেন।
মোহাম্মদ কাইয়ুম ঘুরাফিরা করতে খুব ভালবাসতেন। তাই বন্ধুদের নিয়ে বের হয়েছে।দেবিদ্বার বাউরা গ্রামের করিম মিয়ার ছেলে ০৫ জন। করিম মিয়ার ছেলে ২ জন প্রবাসে আছে বাংলাদেশে ৩ জন আছেন। মোহাম্মদ কাইয়ুম ভাইদের মধ্যে তিন নাম্বার ছিলেন। মোহাম্মদ কায়েমের মৃত্যুতে পরিবারের কান্নার আহাজারি ও শোকাবহ বেদনাদায়ক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *