দশমিনায় জামাইয়ের বিরুদ্ধে মাছ নিধনের অভিযোগ

মোঃ নুরনবী দশমিনা উপজেলা প্রতিনিধি

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে মৎস্যচাষির মেয়ের জামাইয়ের বিরুদ্ধে।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতে সদর ইউনিয়নের আরজবেগী গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত নেছার উদ্দিন পালোয়ান সম্পর্কে ভুক্তভোগী মৎস্যচাষি অজেদ ভান্ডারীর ছোট মেয়ের জামাই। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নেছার উদ্দিন।

ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে অজেদ ভান্ডারীর কাছে তিন লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন নেছার উদ্দিন। বুধবার সন্ধ্যায় বসতঘরে বসে টাকা না দেওয়ার কথা জানালে নেছার উদ্দিন ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে “নিঃস্ব করে দেওয়ার” হুমকি দিয়ে চলে যান।

রাতের শেষ ভাগে প্রকৃতির ডাকে বাইরে বের হলে অজেদ ভান্ডারী দেখতে পান তার পুকুরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে ঘটনাটি প্রত্যক্ষ করেন।

কান্নাজড়িত কণ্ঠে অজেদ ভান্ডারী বলেন, “আমার ছোট মেয়ের জামাই দীর্ঘদিন ধরে টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিল। টাকা দিতে না পারায় সে আমার পুকুরে বিষ দিয়ে প্রায় দশ লাখ টাকার মাছ মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।”

অভিযুক্ত নেছার উদ্দিন পালোয়ান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আমি আমার দ্বিতীয় স্ত্রীর কারণে শ্বশুরবাড়িতে প্রায় এক মাস যাবত যাই না, কোনো খোঁজও রাখিনি। আমার বিরুদ্ধে শ্বশুরবাড়ির লোকজন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছে। এত বড় ক্ষতি আমি করিনি, এটা আমার পক্ষে সম্ভবও না।”

দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আলীম জানান, “অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *