তাহিরপুর মাদক ব্যবসা বর্ডার ক্রস মোটর সাইকেল বিক্রির চক্রের সাথে জড়িত পুলিশ সদস্য (ইকবাল)

ক্রাইম রিপোর্টার, সুনামগঞ্জ:

তাহিরপুর এবং সিলেট সীমান্ত এলাকা দিয়ে বর্ডার ক্রস করে নিয়ে আসা মোটরসাইকেল বিক্রয়কারী চক্রের সঙ্গে ও মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনেষ্টেবল ইকবাল হাসান(কং ৮৬১,বিপি ৯৭১৭২১৬২৪৭) এর বিরুদ্ধে।
পুলিশের সদস্য ইকবাল বর্তমানে সুনামগঞ্জের, তাহিরপুর উপজেলার, বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত। তার পৈতৃক নিবাস সিলেট জেলার জৈন্তাপুর উপজেলার কামরাঙ্গী এলাকায়।
অভিযোগ উঠেছে ,এই পুলিশ সদস্য শুধু বর্ডার ক্রস মোটর সাইকেল বিক্রিই নয় সীমান্ত এলাকায় মাদকসহ চোরাকারবারীদের সাথেও তার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। সে সিলেটের সীমান্ত এলাকা হরিপুর মোটরসাইকেল চোরাকারবারি সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য বলেও অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তাহিরপুর ও সিলেটের এই কাজে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে থাকায় তার এই কাজে সহযোগিতা ও মদদ দিচ্ছে স্থানীয় একজন বির্তকিত মাদক,হুন্ডি,চোরাকারবারি,ইয়াবা ব্যবসায়ী ও অস্ত্র মামলার এক আসামী। সে এই পুলিশ সদস্যকে ব্যবহার করে পুলিশ বাহিনীকে বিতর্কিত করতে কাজও করছে দীর্ঘদিন ধরে।
খোঁজ নিয়ে আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে অবস্থান করায় উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে চোরাকারবারিদের সঙ্গে মিলিত হয়ে শত শত (বর্ডার ক্রস মোটরসাইকেল)নিয়ে এসে চক্রের হাতে তুলে দিচ্ছে। এছাড়াও পুলিশ সদস্য বর্তমানে একটি পালসার গাড়ি ব্যবহার করছে, যার কোনো কাগজ পত্র নেই এবং এই গাড়ীটিও বর্ডার ক্রস করে আনা গোপন সুত্রে জানা গেছে। গাড়িটি বিক্রিও করতে চাইলেও গাড়ির কাগজপত্র না থাকায় বাদাঘাট এলাকার মানুষ কম মূল্যে ক্রয় করতে চায় তাই গাড়িটি বিক্রি হচ্ছে না। পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত থাকায় উনার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে মুখ খুললে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে থাকেন।
এই বিষয়ে কথা পুলিশ সদস্য ইকবাল হাসান বলেন,আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা। আমি বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে দীর্ঘ সতেরো মাস যাবত অবস্থান করছি । গাড়টি আমার এক বন্ধুর। যে বা যারা আমার বিরুদ্ধে যাই বলছে সব মিথ্যা বানোয়াট। আমি কোনো অনিয়মের সঙ্গে জড়িত না।
এ ব্যাপারে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই।বিষয়টি খোঁজ নিবো, খোঁজ নিয়ে যদি পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি সত্যি প্রমাণ হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *