ময়মনসিংহে মৎসবীজ উৎপাদন খামারের ব্যবস্হাপকের রেণুপোনা বিক্রয়ে দূর্নীতি করে বছরে ৭৬ লাখ টাকারও অধিক অর্থ আত্মসাৎ

রিপোর্টারঃ মোঃ আব্দুল আউয়াল খান বিশেষ প্রতিনিধি ময়মনসিংহ

অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের প্রতি মাসে বিশহাজার টাকা উৎকোচের প্রস্তাব;

ময়মনসিংহ সদর উপজেলার শম্ভুগন্জ মৎসবীজ উৎপাদন খামারের ব্যবস্হাপক মোঃ শাহাদাত ইসলামের বিরুদ্ধে রেণু পোনা বিক্রয়ে কারচুপি করে তিন থেকে চারমাসে ১৯ লাখ টাকার অধিক অর্থ আত্মসাৎ এর প্রমাণ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে পোণা বিক্রয়ে সরকারি মূল্য তালিকা না টানিয়ে অধিক মূল্যে খামারিদের মধ্যে বিক্রয় করা হচ্ছে দেখতে পাওয়া যায়। বিক্রয় রশিদ ছাড়া বহু লোকের কাছে পোণা বিক্রয় করা হচ্ছে তারও সচিত্র প্রমাণ মেলে।
এছাড়াও সাংবাদিকরা ক্রেতা সেজে গোপন ক্যামেরায় পোণার সাথে পানি মিশ্রিত ব্যাগ দিয়ে কম রেনু পোনা দিয়ে বেশি বেশি ওজন দেখানোর প্রমাণও মেলে।

সবধরনের প্রমাণ সংগ্রহ করে খামার ব্যবস্হাপক মোঃ শাহাদাত ইসলামের অফিস কার্যালয়ে ঢুকার সময় অফিস সহায়ক মোস্তফা কবির ওনাদের পিছনে পিছনে অনুসরণ করতে দেখা যায়।
অফিসে গিয়ে খামার ব্যবস্হাপকের নিকট অভিযোগগুলো নিয়ে জানতে চাইলে প্রথমে পুরো অস্বীকার করেন। ক্যামেরায় নিজের বক্তব্য দিতে অস্বীকার করেন। পরবর্তীতে তথ্য প্রমাণ দেখালে সাংবাদিকদের বলেন, বসেন আপ্যায়ন করি এবং কথা বলি। তখন ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সিনিয়র সাংবাদিকদের রেফারেন্স দিতে থাকেন। আর অনুসন্ধানরত প্রতিবেদকদের প্রতি মাসে নিয়মিত বিশহাজার টাকা উৎকোচের প্রস্তাব করেন। কিন্তু তারা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

সাধারণ খামারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ওনারা কোন চার্ট টানায়না আর কোন বিক্রয় রিসিডও দেননা। পোণা ব্যাগে পানি মিশ্রিত করে ওজনে কম দেন।
সরকার নির্ধারিত প্রতি কেজি রেনু পোণার মূল্য ১৮০০ টাকা হলেও সাধারণ মানুষদের কাছে তা ৩২০০ থেকে ৪০০০ টাকা রাখছেন। ওজনে কম দিয়েও পুরো এক কেজি ওজনের মূল্য নিচ্ছেন।
একজন ক্রেতা জানান, ওনার কাছ থেকে ৫০০০ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে ৪৮০০ টাকা রিসিড দিয়ে রাখেন। যার প্রকৃত মূল্য ৩৬০০ টাকা। সাংবাদিকদের দেখে পরিচালক শাহাদাত ইসলাম ৮০০ টাকা ফেরত দিয়ে প্রকৃত মূল্য রাখলে তিনি জিজ্ঞেস করেন, আগে তাহলে বেশি রেখেছিলেন কেন?
তিনি ভুল হয়ে গেছে বলে দুঃখ প্রকাশ করেন।

অনুসন্ধানী প্রতিবেদকদের নিকট প্রতিটি অনিয়মেরই সচিত্র প্রমাণ আছে।

উল্লেখ্য শাহাদাত ইসলাম বিগত সরকারের আমলে মদন-মোহনগন্জ-খালিয়াজুড়ি আসনের এমপি সাজ্জাদ সাহেবের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে ক্ষমতার দাপটে অস্থির করে রাখেন সংশ্লিষ্ট অফিস কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং সাধারণ খামারিদের। বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিভিন্ন বিএনপি নেতা এবং সাংবাদিকদের আঁতাত করে নতুন রূপ ধারণ করেছেন। যেসব কর্মচারী এসবের বিরুদ্ধে কথা বলতেন তাদের উপর নেমে আসতো স্ট্যান্ডরিলিজের খড়গহস্ত।

এবিষয়ে জেলা মৎস্য অফিসার মুঠোফোন যোগাযোগ করলে তিনি বললেন বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

মোঃ আব্দুল আউয়াল খান
০১৭৭৭৮৪৮৪১৩

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *