
মোঃ মকবুলার রহমান
স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী
বায়তুল মোকাররমে সমাবেশে নেতৃত্ব দেন আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো বিকল্প নেই। সরকারের সদিচ্ছার অভাবে জনগণের আদালতেই দলটির বিচার হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি। একই সঙ্গে এনসিপির কর্মীদের পাড়া-মহল্লায় ফ্যাসিবাদবিরোধী মঞ্চ গড়ে তোলার নির্দেশ দেন।
শুক্রবার রাজধানীর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। “জুলাই গণহত্যার বিচার ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ”—এই দুই দাবিকে সামনে রেখে এনসিপির ঢাকা মহানগর শাখা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা সোয়া ৬টা পর্যন্ত চলা এই কর্মসূচিতে ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ড ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে আসা হাজারো নেতাকর্মী মিছিলসহ অংশগ্রহণ করেন। সমাবেশটি ধীরে ধীরে এক জনসমুদ্রের রূপ নেয়।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, আরিফুল ইসলাম আদীব, মনিরা শারমিন, ডা. তাসনিম জারা ও নাহিদা সারওয়ার নিভা।
বক্তব্যে নাহিদ ইসলাম বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠনে পরিণত হয়েছে, যা রাজনৈতিক দলের সংজ্ঞায় পড়ে না। জনগণের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে থাকা এই দলটির প্রতীক বাতিল না করায় নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।”
তিনি বলেন, “৭২-এর সংবিধান দেশকে পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ করেছে। ধর্মনিরপেক্ষতার নামে মানুষের ধর্মীয় চেতনাকে দমন করা হয়েছে। জনগণ আজ মানবিক রাষ্ট্রের স্বপ্নে এনসিপির দিকে তাকিয়ে আছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলা চত্বর অভিযান এবং মোদিবিরোধী আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন—তাদের বিচার ও মর্যাদা নিশ্চিত করতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বরং অপরাধীদের ছাড়িয়ে নিতে কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী সুবিধা আদায়ের প্রতিযোগিতায় নেমেছে।”
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ, দক্ষিণাঞ্চলীয় সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর পর্যায়ের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী।
সমাবেশে উপস্থিত নেতারা অবিলম্বে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণার আহ্বান জানান এবং একইদিনে আইন পরিষদ ও গণপরিষদের নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান।
