ঠাকুরগাঁওয়ে ১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজন যুবক আটক

মিঠুন কুমার রায়
স্টাফ রিপোর্টার
রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও।

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় শাহাজাহান আলী গেন্দু নামে অভিযুক্ত যুবককে আটক করেছে পুলিশ।

রোববার (৪ মে) দুপুরে সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বঠিনা (নদীভাঙা) গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতারকৃত শাহাজাহান আলী রাজাগাঁও ইউনিয়নের উত্তর বঠিনার পাটিয়াডাঙ্গী এলাকার আব্দুল খালেকের ছেলে। সে একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।

এজাহার ও ভুক্তভোগী পরিবারের সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শাহাজাহান আলী গেন্দু প্রায় সময় ভিকটিমের বাড়িতে যাতায়াত করতেন এবং স্কুলছাত্রীকে মাঝে মধ্যে কুপ্রস্তাবও দিতেন। শাহাজাহান আলীর এমন কুপ্রস্তাব ভিকটিম তার মা-বাবাকে জানালে তার বাবা অভিযুক্তকে সতর্ক করে।

গতকাল রোববার সকাল ৯টার দিকে ভিকটিমকে বাড়িতে একা রেখে তার মা-বাবা মাঠে কাজ যান। এ সুযোগে অভিযুক্ত গেন্দু দুপুরের দিকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের চিৎকার করলে শাহাজাহান আলী গেন্দু তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জীবন রক্ষার্থে পালিয়ে যান।

পরে ভিকটিম তার পরিবারকে বিষয়টি খুলে বললে পরিবারের সদস্যরা রুহিয়া থানা পুলিশের দারস্ত হয়ে অভিযুক্ত শাহাজাহান আলী গেন্দুর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

ভিকটিমের বাবা জানান, ‘কাজের জন্য বাসার বাইরে থাকার সুযোগে শাহাজাহান আলী আমার স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে। পরে রাতে আমি বাড়িতে এসে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি জানালে তারা থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন এবং পরে আমি রুহিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনার পর থেকেই আমার মেয়ে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। বাড়ির পাশে হওয়ায় গেন্দু আমার বাড়িতে প্রায় আসতো। মেয়েকে কুপ্রস্তাবও দিতো। একদিন আমার মেয়ে কুপ্রস্তাবের বিষয়টি আমাকে জানালে আমি গেন্দুকে সতর্ক করি। আজ আমরা বাড়িতে না থাকায় সে এমন জঘন্য কাজটি করেছে। আমি তার সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।‘

এ বিষয়ে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম নাজমুল কাদের জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ভিকটিমের বাবা থানায় এসে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত শাহাজাহান আলী গেন্দুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৪ মে) সকালে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হবে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য। পরবর্তীতে অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *