জিও এনজিও মাসিক সমন্বয় সভা আলোচনায় ড্রপ আউট নাই,ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক গর্বিত

স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ জেলা মোঃ রুহুল আমিন:

আজ সুন্দর সকাল। কর্ম ক্ষেত্রেই সবাই যার যার কর্ম স্থানে কাজের উদ্দেশ্যে রওনা। তেমনি সকল এনজিও কর্মীর সাথে ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত হলো। জিও এনজিও মাসিক সমন্বয় সভা আলোচনা ড্রপ আউট নাই। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সম্মেলন কক্ষে সকল এনজিও কর্মী ও এনজিওর সিইও ও প্রতিনিধি ছিলেন। আজ সবারই আলোচনা শুনেছেন নতুন ডিসি মোঃ আব্দুল আওয়াল মহোদয়। তিনি দূরে বসে থাকা এক জন কে লক্ষ্য করলে। তিনি একটু ঝিমিয়ে পড়েছেন। ডিসি মহোদয় বললেন আপনি কিছু বলবেন। তিনি বলেন জি স্যার। আমি কিছু বলতে চাই। তিনি হলেন ওয়েল ফেয়ার এফোরটস (উই) ঝিনাইদহের প্রতিনিধি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ। তিনি সবাইকে আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহ দিয়ে আলোচনা শুরু করেন।
ড্রপ আউট কি ?
ড্রপ আউট বলতে ব্যবহারিক কারণে, প্রয়োজনীয়তা, অক্ষমতা, উদাসীনতা বা সেই সিস্টেমের প্রতি মোহভঙ্গের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাই স্কুল , কলেজ , ইউনিভার্সিটি বা অন্য গ্রুপ ত্যাগ করা বোঝায় যেটি থেকে প্রশ্নকারী ব্যক্তি চলে যায়।
ঝিনাইদহ জেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে সর্ব মোট ৯১৩ টি স্কুল। যা ঝিনাইদহ জেলায় ছয় থানা মিলে। ঝিনাইদহ সদরে মোট ২৩৪ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। হরিনাকুন্ডু তে মোট ১৩৫ টি ,শৈলকুপায় ১৮২ টি । কালিগঞ্জ এ ১৪৭ টি । কোটচাঁদপুরে ৭৪ টি এবং মহেশপুরে আছে মোট ১৫২ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। আমি এই সকল বিদ্যালয়ের বিষয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছি। আপনি জানলেন হয়তো খুবই খুশি হবেন। আমি আপনার কাছে সকল কিছু বলতে চাই যে এই স্কুলে কিছু ড্রপ আউট আছে
। আবার নেই। যেগুলো আছে কিছু সমস্যার কারণে। হয় তো সে ঢাকায় চলে গেছে। মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ আরও বলেন। ঝিনাইদহ সদরে , বাজার গুপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ৩৩১টি। শিক্ষক ১১ জন, নারী শিক্ষিকা ৬ জন । এখানে কোন ড্রপ আউট নাই। শৈলকুপার বরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৫৭ জন । মোট শিক্ষক ৫ জন নারী শিক্ষিকা ২জন। ড্রপ আউট ১ জন।
কালিগঞ্জ কুলা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা ৩২০ জন। মোট শিক্ষক ১০ জন নারী শিক্ষিকা ৬ জন। এখানে কোন ড্রপ আউট নাই।
কোটচাঁদপুর ধোপাবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ২৩৪ জন।মোট শিক্ষক ছয় জন নারী শিক্ষিকা ৩ জন। এখানে কোন ড্রপ আউট নাই। এভাবে চলতে থাকে তার তথ্য সংগ্রহের সকল তথ্য। যা সকল কে অনেক ভালো লাগে। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোঃ আব্দুল আওয়াল মহোদয় এতো সুন্দর তথ্য সংগ্রহ ও আলোচনা শুনে মুগ্ধ ও গর্বিত হয়েছি। তিনি উই ঝিনাইদহের প্রতিনিধি মোঃ আসাদুজ্জামান আসাদ কে বলেন প্রয়োজনে ঢাকা থেকে ড্রপ আউট ছাত্র ছাত্রী যেখানেই থাকুন স্কুল মুখি করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *