
মোঃ মকবুলার রহমান
স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে চলমান আন্দোলন শুক্রবার (৯ মে) জুমার পর আরও বেগবান হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন অংশগ্রহণকারী দল। রাজধানীর প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে চলমান অবস্থান কর্মসূচিতে বৃহৎ জমায়েতের পরিকল্পনা করছে আন্দোলনকারীরা। এ উপলক্ষে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলের সামনে চলছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ।
জানা গেছে, শুক্রবার জুমার নামাজের পর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, হেফাজতে ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন ইসলামপন্থী দলের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
গত বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় এনসিপির নেতাকর্মীদের মাধ্যমে আন্দোলনের সূচনা হয়। পরবর্তীতে এতে অংশ নেয় ইসলামী ছাত্রশিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরাও। শুক্রবার সকাল থেকেই কর্মসূচিস্থলে স্লোগান, বিপ্লবী গান ও গণসংগীত চলমান রয়েছে। এনসিপির উত্তরাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সেখানে উপস্থিত রয়েছেন।
যদিও জামায়াত ও হেফাজতের পক্ষ থেকে দায়িত্বশীল পর্যায়ের কেউ সরাসরি অংশ না নিলেও, তাদের দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা কর্মসূচিতে যুক্ত হয়েছেন। হেফাজতের এক নেতা নাহিদুল ইসলাম জানান, “জুমার পর আমরা বড় জমায়েত করবো। এতে সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেবেন।”
তবে পুরো এলাকাজুড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কর্মকর্তা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংলাপে আসেননি।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ঘোষণা দেন, “যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ প্রকাশ না করা হবে, ততক্ষণ যমুনার সামনে আমাদের অবস্থান কর্মসূচি চলবে।”
ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই এনসিপিসহ অন্যান্য সংগঠনের কর্মীরা যমুনার সামনে জড়ো হয়ে অবস্থান নেয়। আন্দোলনকারীরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন—তাদের প্রধান দুই দাবি, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ এবং রাষ্ট্রপতির অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তারা পিছু হটবেন না।