করিচিয়ার ইব্রাহিম ও কুতুব মেম্বার রাতের আধরে নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ সংগঠিত করছে


ক্রাইম সংবাদ প্রতিনিধি

সারা দেশে আওয়ামীলীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ তবে তা মানছে না করিচিয়ার ইব্রাহিম ও কুতুব মেম্বার। প্রতিদিন রাত ১১ টার পর এখানে চাঁচড়া ইউনিয়নের তাবৎ আওয়ামীলীগ নেতা কর্মী এখানে ভীড় করে।
মৃত শাহজাহানের ছেলে কুতুব মেম্বার। বিএন পি যুবদল, ছাত্রদল, জামায়াত-শিবির তার দুই চোখেরযেন বিষ। এখনো অব্যাহত তার ষড়যন্ত্র। প্রতিদিন তিনি মিটিং সেটিং এ ব্যাস্ত। তবে দিন ও সন্ধ্যা রাতে তিনি থাকেন চুপ। রাত যত গভীর হয় ততই তার ব্যাতি ব্যাস্ততা বেড়ে যায়।
কুতুব মেম্বারের সাথে রয়েছেন মৃত মোজম বিস্বাসের ছেলে কথিত কাঠ ব্যাবসায়ী ইব্রাহিম। ইব্রাহিমের ওপেন সিক্রেট হচ্ছে সে আরবপুরের সাহারুলের সহযোগী। চাঁচড়া ইউনিয়ন জুড়ে তার অপকর্মের জুড়ি নেই। সরকারি গাছ কাঁটা, মানুষের গাছ ক্রয় করে টাকা না দেওয়া, দলের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসীদের মদদ প্রদান, পাওনা টাকা চাইলে পুলিশ দিয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার অনেক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
যশোর সদর উপজেলার ১০ নং চাঁচড়া ইউনিয়নে এক হায়নার নাম ইব্রাহিম। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, সুদে কারবারি ওর গরীব নিপিড়নকারী এই ইব্রাহিম বিশ্বাস ও তার সহযোগী কুতুব মেম্বার, ছেলে আশিককে এলাকার মানুষ হায়েনা নামে ডাকে। স্কুলের গাছ বিক্রি করে ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা আত্মসাত, পাওনাদার টাকা চাইলে তা না দিয়ে মিথ্যা ও হয়রানি মামলায় তাঁদের ফাঁসানোয় ইব্রাহিমের জুড়ি নেই চাঁচড়ায়।
চাঁচড়ার সাধারণ মানুষ নির্যাতনকারী আওয়ামীলীগ করিচিয়া ৩নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম বিশ্বাস। এই ওয়ার্ডের মৃত মোজাম আলী বিশ্বাসের ছেলে ইব্রাহিম। সারা ইউনিয়ন জুড়ে ব্যাপক সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির অপকর্ম রয়েছে ইব্রাহিম বিশ্বাস, সাবেক মেম্বর কুতুব ও ইব্রাহিমের ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আশিকের।
এই বাহিনীর আরো সন্ত্রাসী, চাঁচড়া ইউপি যুবলীগের সভাপতি মাহিদিয়ার সাজ্জাদুর রহমান বাবু, ইউপি যুবলীগ আহ্বায়ক গলদাহের মফিজুর, রদ্রপুরের সাজ্জাদ হোসেন, রুদ্রপুর ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু, আবু তাহের, নাজমুল ইসলাম, তেঁতুলিয়ার আব্দুল হালিম, আব্দুল খালেক মোল্লা, মোস্তাক হোসেন প্রমুখ।
সূত্র জানায় উল্লেখিতরা আওয়ামীলীগ আমলে শহরে অবস্থিত লালদীঘির পাড়ের যশোর জেলা বিএনপি অফিস ভাঙচুরকারী। এই কাজে তারা বিভিন্ন গ্রাম থেকে লোকজন জড় করে পিকআপ, ভ্যন ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলে যশোর শহরে জড় করেছিল। যা সবার জানা। উল্লেখিতরা ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের ৪/৫ দিন আগে ইউনিয়ন জুড়ে জামায়াত বিএনপি তালিকা করে অনেক বাড়ি ঘরে আগুন ধরায়। এছাড়া ভাঙচুর ও লুটপাট করে এই ইব্রাহিম, কুতুব-আশিক গঙ। তেঁতুলিয়ার নজরুল প্রফেসরের বাড়ি, তোরাব আলী জমাদ্দারের বাড়ি, করিচিয়ার মিকাইল খার বাড়ি, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মসিয়ারের বাড়ি, মেঘলার এনের বাড়ি, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজ্জাদ মহুরি (এ বছর মৃত্যু বরণ করেছেন)র বাড়ি এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
স্থানীয়রা জানান, গাছ কিনে টাকা পরিশোধ করে না ইব্রাহিম। আর টাকা চাইলে নিজে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার ছবি পুড়িয়ে নাশকতা মামলা দিয়ে মানুষজনকে পুলিশ দিয়ে এতদিন হয়রানি করেছে ইব্রাহিম গঙ। ইব্রাহিমের মামলায় কারাবরণ করেছেন, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল, সোহেল রানা জনি, আব্দুল বারিক, ইমামুল খন্দকার, আনারুল বিশ্বাস, ৬ নং ওয়ার্ড বাসিন্দা আব্দুস সালাম বিশ্বাস, মৃত্যু শয্যায় থাকা সামাদ শেখ (৭০), আনার হোসেন, গোলাম মোর্তজা, মুজিবর রহমান প্রমুখ। শুধু মামলা দিয়ে হয়রানিই নয় নতুন মামলা নাদেওযার অজুহাত দেখিয়ে এরা ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছে বলে জোর অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, ইব্রাহিম বিশ্বাস হাবুর হোটেলের তাওয়া বা কড়াই চুরি করে ধরা পড়ায় বাগেরহাট বাজারে তার প্রকাশ্যে বিচার শালিস হয়। যা করে তৎকালীন চাঁচড়ার চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ফুল। সেই ইব্রাহিম আরবপুরের সন্ত্রাসী সাহারুলের মদদে একের পর এক বড় অন্যায় করেও আওয়ামীলীগে বহাল থেকে মানব যন্ত্রনাময় সব অপকর্ম করেছে। আর এখন রাতের আঁধারে আওয়ামীলীগ সংগঠথিত করতে কুতুব মেম্বারের প্রধান সহযোগী সে।
চাঁচড়া ইউনিয়নবাসি আওয়ামীলীগের হায়েনা ইব্রাহিম বিশ্বাস, সাবেক মেম্বর কুতুব ও ইব্রাহিমের ছেলে আশিকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে তাদের আটকের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। নইলে এরা শনিবার রাতেও সরকারি আইন ভঙ্গ করে নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগ সংগঠিত করতে গভীর রাতে বাড়ি মিটিং সেটিং করছে। সরকারি আইন থোড়াই কেয়ার করছে এরা। বড় ধরণের নাশকতার ছক এই কুতুব মেম্বার ইব্রাহিম গঙের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *