রাজশাহী সাহেব বাজারে ঘটে যাওয়া অপহরণের ঘটনা!

ক্রাইম রিপোর্ট:

আমার নাম মোঃ ইয়াকুব আলী, পিতা মোঃ মোজাম্মেল হক, গ্রাম: চামুশা,০১ নং ইউনিয়ন ভোলাহাট, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
আমি আমার নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় দুই দিন ঘুরেও জিডি গ্রহণ না করায় গত ০৭/০৫/২০২৫ ইং তারিখ মধ্যরাতে আইজিপি মহোদয়ের’ হোয়াটসঅ্যাপে উক্ত বিষয় লিখে দিই,পরের দিন ৮ তারিখ রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি মহোদয়’ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সার্কেল মহোদয়’ সকাল প্রায় ১০ থেকে ১১ ঘটিকা পর্যন্ত আমার সাথে ফোনে যোগাযোগ করেন এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সার্কেল মহোদয়’ আমাকে জানান কোন পুলিশি সহযোগিতার প্রয়োজন হলে আমি যেন তাকে জানায় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার মহোদয়’ আমার সাথে কথা বলতে চান বলে অবগত করেন ও তার বারবার ফোন করায় আমি পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাথে দেখা করি ০৮/০৫/২০২৫ ইং তারিখ বিকেল প্রায় 5:30pm ঘটিকায়’ তিনি আমার নিরাপত্তাহীনতার বিষয়টি শুনে মর্মাহত হন এবং আমাকে জানান ১০/০৫/২০২৫ ইং তারিখ রোজ শনিবার এসপি অফিসে আবার আসার জন্য এবং এসপি অফিস থেকেই আমার জিডি গ্রহণ করে তা থানায় ফরওয়ার্ড করবেন বলে আমাকে অবগত করেন। তারপরে আমি চলে যাই রাজশাহী। সাহেব বাজার স্বর্ণা হোটেলে আমি উঠি ০৯/০৫/২০২৫ ইং তারিখ রোজ শুক্রবার দুপুর প্রায় 1:30pm. উঠার একটু পরেই আমার পরিচিত ভোলাহাটের মোঃ ইব্রাহিম সেলিম আসে এবং আমাকে হোটেলে খেতে ডাকেন বলে আমার সাথে তার কিছু কথা আছে তার সাথে সেই অপহরণকারী দুইজন স্বর্ণা হোটেলে এসেছিলেন তাকে আমি বলি আমি আসছি এবং তারা চলে যায় তার একটু পরে আবার আমাকে ফোন দিয়ে বলে দ্রুত আসো খাওয়া-দাওয়া করে চলে যাব আমি তাকে বলি কোথায় যাব আমি চিনি না সে বলে রহমানিয়া হোটেলের সামনে আসো তার সাথে ফোনে কথা বলতে- বলতে সেখানে যায় সে আমাকে আবার বলে রহমানিয়া হোটেলের গেটের অপজিটে সামনে যে রাস্তাটি গেছে সেটি ধরে সামনে প্রায় ১৫০ গজ গেলেই হাতের বামে যে হোটেলটি সেটির দুই তালায় খাবার হোটেল সেখানে আসো বলে জানালে আমি হোটেলে ঢুকতে গিয়ে দেখি দুই সাইডে দোকান রয়েছে ও মধ্যখান দিয়ে ভেতরে যাওয়ার রাস্তা। আমি সেই হোটেলের দুই তলায় অবস্থিত খাবার রেস্তোরায় যাই যাওয়া মাত্রই ইব্রাহিম সেলিম তার পাশের লোকজনকে বলে আমার এলাকার ছোট ভাই ইয়াকুব কে উপরে আমার রুমে নিয়ে যাও আমি খাবার পাঠাচ্ছি ও আসছি তারা আমাকে নিয়ে যায় ওপর তলায় সেখানে গিয়েই আমি বুঝতে পারি তাদের উদ্দেশ্যে ভালো না সেখানে খাবার আসে যা আমি খাই এবং সুযোগ বুঝে 4:13pm চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সার্কেল কে আমার লাইভ লোকেশন দিয়ে আমি হোটেল থেকে দৌড়ে পালিয়ে আসি প্রায় ১০০’ গজ‌। আমার পেছনে অপহরণকারীরা দৌড়ে আবার আমাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে আমি অনেকের কাছে হেল্প চেয়েছি অনেক লোকজন আমাকে দেখেছে। এবার আমাকে রাখা হয় সেই হোটেলেই পাঁচতলায় আমি জানালা দিয়ে অনেকের কাছে হেল্প চেয়েছি যার জন্য আমাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। পরে অনেককে ফোন করিয়ে টাকা আনার জন্য বাধ্য করা হয়েছে আমি ফোন দিয়ে টাকা আনার চেষ্টা করেছি সেখানে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সার্কেল কে সংকেত দেওয়ার জন্য তাকেও ফোন দিয়েছি, আরো অনেককে ফোন করেছি কিন্তু একজন ৩,০০০ হাজার টাকা দিলে যা অপহরণকারীরা নেয় এবং আমাকে দিয়ে অনেক রকম অপরাধ যা আমার অজানা সেগুলো বাধ্য করে স্বীকার করিয়ে ভিডিও ধারণ করা হয়েছে পরে আমি অনুভব করি যে আমাকে অপহরণের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাকে দিয়ে আমার অজানা অনেক অপরাধের কথা বাধ্য করে স্বীকার করিয়ে ভিডিও ধারণ করা। ততক্ষণ পর্যন্ত আমার ফোনটি তাদের কাছে থাকে পরে আমাকে রাত প্রায় ১১ ঘটিকায় ছাড়া হয় তাদেরই পরিচিত একটি রিকশা যোগে এবং আমি দ্রুত তাদের রিক্সা ছেড়ে দিয়ে জনবহুল এলাকায় গিয়ে অনেককে মেসেজ করি এবং অপহরণকারীদের ধরতে সহযোগিতা চায় পরে আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপারকে উক্ত বিষয়টি অবগত করি তাকে অবগত করার প্রায় ৫/৭ মিনিটের মধ্যেই তিনি যে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে আমি আইজিপি মহোদয়কে’ মেসেজ লিখেছিলাম তাদেরসহ দুই গাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ নিয়ে উপস্থিত হন এই অসম্ভব বিষয়টি আমার সন্দেহ হয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পুলিশ সুপার মহোদয়’ আমার সাথে ঘটে যাওয়া নির্মম অপহরণের ঘটনাটি শুনেন এবং বোয়ালিয়া থানার ওসি সহ দারোগা বিজয়কে ডেকে আমার সাথে ঘটে যাওয়া বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেন হেসে হেসে। বিজয় দারোগা আমাকে সাথে করে নিয়ে গিয়ে আমাকে যেই হোটেলে অপহরণ করে রাখা হয়েছিল তা দেখেন এবং বিল্ডিংটির ছবি তোলেন এবং আমাকে রেল স্টেশনে রেখে আসবেন বলে অবগত করেন এত রাতে গাড়ি না পাওয়ায় আমি উক্ত স্বর্ণা হোটেলে রাত শেষ করে সকালে যাওয়ার সময় রেল স্টেশনের অপজিট পাশের পুলিশ বক্সের পুলিশ আমার উক্ত অপহরণের বিষয়টি শুনেন এবং লিখেন পরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাস ধরিয়ে দেয়। আমি চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌঁছানোর আগেই চাঁপাইনবাবগঞ্জ ডিবির ওসি সাহেব আমাকে ফোন করেন এবং ডিবি অফিসে দেখা করতে বলেন আমি তার সাথে দেখা করলে সে আমাকে নানানভাবে শাস্বান ও অনেক রকম ভয়-ভীতি দেখান আরো বলেন প্রাণে বাঁচতে হলে ও মিথ্যা মামলা খেতে না চাইলে আমি যেন কোনদিন রাজশাহী না যায় এবং উক্ত বিষয়ে বাড়াবাড়ি না করি সাথে আমার কার্যক্রম বন্ধ করে সবার সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাখি। পরে আমি সেখান থেকে এসে বাড়িতে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *