সীমান্তে চাপ সৃষ্টির নতুন ছক? ভারত শুরু করেছে ‘পুশইন’ কার্যক্রম

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

সম্প্রতি সীমান্তে নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত মিলেছে। বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশকে কূটনৈতিকভাবে চাপে ফেলতে ভারত সুপরিকল্পিতভাবে শুরু করেছে ‘পুশইন’ নামক এক বিতর্কিত প্রক্রিয়া। ৪ঠা মে থেকে ১৫ই মে—এই অল্প সময়েই প্রায় ৩৭০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে শুধু বাংলাদেশি নয়, রয়েছেন রোহিঙ্গা ও অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তিরাও।

বিএসএফ বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাংলাভাষী লোকদের ধরে এনে চোখ বেঁধে সীমান্তে ফেলে দিচ্ছে বলে আটক ব্যক্তিরা জানিয়েছে। নির্জন এলাকায় রেখে যাওয়া এসব মানুষ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজরে আসার পর পরিস্থিতি প্রকাশ্যে আসে।

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে কয়েকজন রোহিঙ্গা রয়েছে, যারা ভারতে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর অধীনে নিবন্ধিত ছিল। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও দ্বিপাক্ষিক চুক্তি ভঙ্গ হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা।

ভারত সরকার এই পদক্ষেপকে ‘ফেরত পাঠানো’ বললেও বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি মূলত একধরনের কৌশলগত চাপ। তারা বলছেন, সীমান্তে কৃত্রিম অস্থিরতা তৈরি করে বাংলাদেশের ওপর মনস্তাত্ত্বিক ও কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, সীমান্তে নজরদারি আরও জোরদার করতে হবে। পাশাপাশি কূটনৈতিক প্রতিবাদ এবং আন্তর্জাতিক মহলে—বিশেষ করে জাতিসংঘে—এই ইস্যুটি জোরালোভাবে উপস্থাপন করা উচিত।

বিজিবি বর্তমানে আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ ও নিরাপত্তা যাচাইয়ের কাজ করছে। বিশ্লেষকদের মতে, এই ধরণের অনৈতিক পুশইন বন্ধে আন্তর্জাতিক মহলের চাপ সৃষ্টি জরুরি, এবং যাদের প্রকৃত পরিচয় নির্ধারিত, তাদের বৈধ চ্যানেলের মাধ্যমেই ফেরত পাঠাতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *