
সাইদ গাজী সালথা ফরিদপুর প্রতিনিধি,
ফরিদপুরের সালথায় আজ ১৯ মে বিকাল ৫ ঘটিকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু রাংগারদিয়ার ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা পরিদর্শন করতে আসেন।
বৃষ্টি উপেক্ষা করে ক্ষতিগ্রস্থ্য জনগনের পাশে দাড়াতে তিনি ছুটে আসেন সোনাপুর ইউনিয়নে রাংগারদিয়া গ্রামে কিন্তু বৃষ্টির কারনে তিনি প্রতিটি ঘরে যেতে না পেরে দু:খ প্রকাশ বলেন আমি সুযোগ পেলেই ইন্শাল্লাহ ক্ষতিগ্রস্থ্য সকলের সাথে সাক্ষাত করবো।
এর আগে তিনি মোন্তার মোড় বাজারের আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকানগুলি পরিদর্শন করেন এবং বলেন আপনারা যারা এই বৃষ্টি উপেক্ষা করে আমার জন্য দাড়িয়ে আছেন আমি সকলের কাছে কৃতজ্ঞ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ,সালথা উপজেলা থানা বিএনপির সভাপতি জনাব ছিদ্দিকুর রহমান তালুকদার। সালথা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বর, বিএনপির সহ-সভাপতি শাহিন মাতুব্বর,সোনাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো: আজিজুল হক, এ্যাড: এ আর লিটন-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুর জেলা যুবদল এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ফরিদপুর জেলা।
হুমায়ুন খান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক খায়রুল বাশার আজাদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহিদুল হাসান লাভলু, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা ইসরাইল মাতুব্বর,এছাড়াও সালথা উপজেলা ও সোনাপুর ইউনিয়নসহ অন্নান্য ইউপির বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
গত ১১ মে সোনাপুর ইউনিয়নের রাংগারদিয়া গ্রামে দিনদুপুরে জয়নাল/লাবলু বাহিনী ও তার ভাড়াটে লোকজন ৩০টি পরিবারের বাড়িঘর গুড়িয়ে দেয় ও লুটপাট করে। লুটপাটের ঘটনা এর আগে পরিদর্শন করেছেন সালথা উপজেলার বিএনপির সভাপতি ও সোনাপুর ইউপির বিএনপি সভাপতি। ও এ্যাড:.এ আর লিটন-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদপুর জেলা যুবদল এবং সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ফরিদপুর জেলা।
উল্লেখ্য ১০ মে শুক্রবার রাতে ও শনিবার ১১ মে সকালে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের রাঙ্গারদিয়া গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ-ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সালথা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় ৩০টি ঘরবাড়ি ভাংচুর ও লুটাপাট করা হয়। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়। আহতদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।