
মো: আজিজুর বিশ্বাস,স্টাফ রিপোর্টার।
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের চাপুলিয়া গ্রামে সৌদি প্রবাসী যুবক হাসিকুল ওরফে ছাব্বির মোল্লার (পিতা হায়দার মোল্লা) তার বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন এক কলেজ ছাত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান নেন।
ওই কলেজ ছাত্রীর অভিযোগ, টিকটকে তাদের পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর ছাব্বির তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে ব্যক্তিগত গোপন ছবি ও ভিডিও দাবি করে। শুরুতে আপত্তি জানালেও পরে বিশ্বাসের জায়গা থেকে ফারজানা তা দেন। ছাব্বির পরবর্তীতে এসব ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করে ব্ল্যাকমেইল করে। এবং আরও অশ্লীল কনটেন্ট পাঠাতে বাধ্য করে।
এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী বিয়ের প্রস্তাব দিলে ছাব্বির তা প্রত্যাখ্যান করে এবং যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি গোপন ছবি ও ভিডিও আত্মীয়দের মধ্যে ছড়িয়ে দেয় এবং কলেজ ছাত্রীর সৌদি প্রবাসী ভাইকে হত্যার হুমকিও দেয় বলে অভিযোগ করে।
ঘটনার পর সে সরাসরি ছাব্বিরের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেন। তার ভাষ্য, “সম্মান হারিয়েছে এখন শুধুই বিচার চাই। সে আমাকে বিয়ে করতেই হবে।”
এদিকে ছাব্বিরের পিতা হায়দার মোল্লা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, “আমার ছেলে নির্দোষ। এছাড়া ওই কলেজ ছাত্রী কে মেরে বাড়ি থেকে বের করে দিতে যায় ও বলে সব প্রমাণ সাজানো—কথা, কল রেকর্ড, স্ক্রিনশট, ভিডিও। তবে ছাব্বিরের মা এক পর্যায়ে স্বীকার করেন, তার ছেলে ফারজানার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছিল। ফারজানার দাবি, ছাব্বিরের পরিবারের একাধিক সদস্য তার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, “অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।