
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ জেলা
মোঃ রুহুল আমিন
নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি, নিজের জমি সুরক্ষিত রাখি’ প্রতিপাদ্যে ঝিনাইদহে তিন দিনব্যাপী ভূমি উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে (২৫ মে) রোববার সকাল ৯টায় ঝিনাইদহের ডিসি অফিস চত্বরে এ মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবি এম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে একটি র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি ঝিনাইদহ-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়। এর পর বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করা হয়। এ মেলা চলবে আগামী ২৭ তারিখ পর্যন্ত। মেলায় ৮টি স্টল স্থান পেয়েছে। যেখানে ভূমি সংক্রান্ত সব তথ্য ও সেবা পাওয়া যাবে। এদিকে সুখবর দিলেন প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ভূমি মেলার মাধ্যমে সেবাদাতা ও সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন হবে এবং জনসচেতনতা বাড়বে। সরকারের ভূমিসেবা ও পদক্ষেপ সম্পর্কে দেশব্যাপী জনগণের মাঝে তুলে ধরতে এ ধরনের মেলার ভূমিকা।তিনি আরও বলেন, “২০২৪-২৫ অর্থবছর প্রায় শেষের পথে। আগামী ৩০ জুনের মধ্যে ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নামে থাকা জমির ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। ওয়েবসাইটে লগইন করে ঘরে বসেই ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ করে দাখিলা সংগ্রহ করা সম্ভব।”প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জনবান্ধব ও দুর্নীতিমুক্ত ভূমি সেবা নিশ্চিত করতে সরকার আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ভূমি ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সংস্কার এনেছে।জাতীয় ভূমি সেবা নিয়ে দেশবাসীকে সুখবর দিলেন প্রধান উপদেষ্টারোববার দেশব্যাপী আয়োজিত তিনদিনব্যাপী ভূমি মেলা ২০২৫-এর উদ্বোধন উপলক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে জনসংখ্যার ঘনত্ব বেশি হওয়ায় মাথাপিছু জমির পরিমাণ খুবই কম। এ কারণে জমির গুরুত্ব এবং জমি নিয়ে বিরোধও অনেক বেশি। ফলে ভূমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা আমাদের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।”
তিনি জানান, সরকার নাগরিকদের হয়রানিমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত সেবা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নির্ভুল ভূমি রেকর্ড প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়েছে এবং ভূমি ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটালাইজ করে জনবান্ধব করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, “বর্তমানে জমির খাজনা প্রদান, নামজারি, জমাখারিজ, খতিয়ান বা পর্চার সার্টিফায়েড কপি এবং মৌজা ম্যাপ অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে। এখন ভূমি অফিসে সরাসরি না গিয়ে ঘরে বসেই সেবা নেওয়া যাচ্ছে।”
তিনি জানান, ভূমিসেবা সহায়ক নির্দেশিকা ২০২৫-এর আওতায় ঢাকা মহানগরে পরীক্ষামূলকভাবে পাঁচটি ভূমিসেবা সহায়তা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে অন্যান্য বিভাগীয় শহরে এবং পরবর্তীতে সারাদেশে এ ধরনের কেন্দ্র চালু করা হবে। নির্ধারিত ফি পরিশোধ করে ভূমি মালিকরা এসব কেন্দ্র থেকে সহজেই ডিজিটাল সেবার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
এছাড়াও, দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ের কল সেন্টারে ফোন করে পরামর্শ ও অভিযোগ জানানো যাচ্ছে। জটিল সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞরাও সেবায় নিয়োজিত আছেন।