বরুড়ায় কাজ না করিয়ে বিল উত্তোলন 

খোরশেদ আলম
কুমিল্লা বরুড়া

স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) কাজ বাস্তবায়িত না হলেও ঠিকাদারদের বিল ছাড় করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলা বরুড়া উপজেলায়।
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আঃ মন্নান ও ঠিকাদার শাহজাহান টেকনো বিল্ডার্সের সত্ত্বাধিকারী রোবায়েত আহমেদ উৎস এর যোগসাজসে ঘটে এমন কান্ড। 
২০২১-২২অর্থবছরে এডিপির আওতায় উপজেলার ভবানিপুর ইউনিয়নে ঘটকপুর খলিল চেয়ারম্যান বাড়ির সংলগ্ন ব্রীজ থেকে খালের পাশ্বে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩ লাখ ৯৯হাজার ৯১০ টাকার উত্তোলন করা হয় উপজেলা খাত থেকে। 
সরে জমিনে গিয়ে দেখা যায়, এলজিইডি কাজ রাস্তা পাকাকরণ সাথে খালের পাশে  ৩০০ মিটার প্রতিরক্ষা ওয়াল নির্মাণ করা হয়। এই কাজটি ২০২২ সালে জুলাই মাসে ০৭ তারিখে এলজিইডি বাস্তবায়ন করে যার ব্যয় মূল্য ২লাখ ৮৭ হাজার টাকা এবং ঠিকাদার ছিলেন খলিলুর রহমান। এই ৩০০ মিটার প্রতিরক্ষা ওয়াল নির্মাণের এলজিইডি কাজটি দেখিয়ে উপজেলা বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিবি) খাত থেকে ৩ লাখ ৯৯হাজার ৯১০ টাকার উত্তোলন করা হয়।  
স্থানীয় জনগণ বলেন, যে কাজটি দেখছেন এটি চেয়ারম্যান করেছে। পেলা ওয়াল এবং রাস্তার কাজ একসাথে হয়েছে। এটি এলজিইডির কাজ। 
উপজেলা ভবানিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য  জামাল হোসেন বলেন, এটি এলজিইডি কাজ। রাস্তাসহ পেলা ওয়াল কাজ করা হয়। 
এডিপির আওতায় উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৯১০ টাকা চুক্তিমূল্যে শাহজান টেকনো বিল্ডার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে উপজেলা প্রকৌশলী কার্যাদেশ দেন। 
উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আঃ মান্নান। তিনি অবৈধভাবে আরএফকিউ (রিকোয়েস্ট ফর কোটেশন) করে পূর্বে এলজিইডি মাধ‍্যমে বাস্তবায়ন করা কাজ দেখিয়ে বিল উত্তোলন করেন। এই কাজের তদারকি কর্মকর্তা ও বিল তৈরি প্রধান নায়েক ছিলেন তিনি। এই বিষয়ে আঃ মান্নানের বক্তব্য নেওয়ার জন্য মুঠোফোন এবং  সরাসরি সাক্ষাৎ করলেও তিনি কোন মন্তব্য দিতে রাজি নন। 
শাহজাহান টেকনো বিল্ডার্সের সত্ত্বাধিকারী রোবায়েত আহমেদ উৎস মুঠোফোনে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার হাতে অনেক কাজ। আমি ফাইল দেখে বলতে পারবো। কয়েকদিন পর তিনি বলেন, আমি আপনার সাথে এই বিষয়ে সরাসরি কথা বলবো। পরবর্তী সরাসরি কিংবা মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি। 
এই বিষয়ে বরুড়া উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন বলেন, এখানে আমি নতুন এসেছি। ফাইল খোঁজতে হবে। খোঁজখবর নিতে হবে। তারপর বলতে পারবো।  তার চেয়ে বেশি কিছু বলতে পারবো না। 

উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী আঃ মন্নান এই কাজের খলনায়ক। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *