সখিপুরে প্রায় ১ হাজার কলা গাছ নষ্ট করল বন বিভাগ

রেজাউল করিম রিফাত
ক্রাইম রিপোর্টার ( টাঙ্গাইল)

টাঙ্গাইলের সখিপুর বন বিভাগের উদ্যোগে নতুন বনজ চারা রোপণের অংশ হিসেবে একটি কলাবাগানের কলাগাছ কাটা ও উঠিয়ে ফেলার ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয় কৃষক পরিবার।শনিবার (৩১ মে) সকালে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হালিম পিরসাহেবের চালা সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনায় ঘটে। 
জমির দাবিদার বিল্লাল হোসেন জানান, শতবর্ষ ধরে তাদের পরিবার ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছে। আমরা নিজের হাতে কলাগাছ লাগিয়েছি, যত্ন করেছি। ফল আসার মুখে বন বিভাগ এসে বিনা নোটিশে কলা গাছ কেটে ও উঠিয়ে ফেলছে। প্রায় ১হাজার কলা গাছ নষ্ট করায় আর্থিকভাবে আমার পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হলো। 
তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, বন বিভাগের পক্ষ থেকে কোনো পূর্ব সতর্কতা, আলোচনা বা আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। “আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যদি প্রমাণিত হয় যে জমিটি আমাদের নয়, তবুও ফলন তোলার সময় পর্যন্ত তো সুযোগ দেয়া যেত। কলাগাছ তুলে, ক্ষতি করে এখন যদি বলা হয় এটা বনভূমি, তাহলে আমাদেরকে এত বছর কেন কিছুই বলা হয়নি?” 
তিনি বলেন, “আমি ইউএনও মহোদয়, এসিল্যান্ড মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানাই বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত হোক, আমাদের যেন ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা হয়। দয়া করে আমাদের জীবন রক্ষার ব্যবস্থা করুন। 

এ বিষয়ে এলাকাবাসীরা জানান, বিল্লাল হোসেন পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ওই জমিতে চাষাবাদ করে আসছেন। হঠাৎ করে বন বিভাগের এই উদ্যোগে তারা হতাশ।
স্থানীয় এক প্রবীণ ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সরকার বন রক্ষা করুক, আমরা চাই। কিন্তু সেই বন যদি গরিবের পেটের ভাত কেড়ে নেয়, সেটা তো ন্যায় হয় না।”
জানতে চাইলে বহেড়াতৈল রেঞ্জ কর্মকর্তা ইমরান হোসেন এ বিষয়ে বলেন, এর আগে তাদেরকে সর্তক করা হয়েছে, কিন্তু বিষয়টি তারা আমলে নেয়নি। কিছু গাছ উঠানো হয়েছে। পরে তাদের অনুরোধে এবং বনের চারা কোন ক্ষতি না করার শর্তে কলাবাগানের ভিতর দিয়ে বনের চারা রোপন করা হয়েছে। 
এবিষয়ে সখিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল রণী বলেন, জমির দাবিদার মালিক ও বন বিভাগ কর্মকর্তাদের নিয়ে বসে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *