
স্টাফ রিপোর্টার মোঃ মোশারফ হোসেন।(মদন, নেত্রকোনা)
প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পার হলেও মদন পৌরসভা এলাকায় মজবুত কোন ট্রেনের ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।
ফলে অপরিকল্পিত ড্রেন পৌরবাসী জনদুর্ভোগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারী সামান্য বৃষ্টি হলেই পাড়া মহল্লা তলিয়ে যায় পানির নিচে।
পৌরসভার ছোট-বড় সকল পুকুর ও নালা ভরাট করে ভবন তৈরি করা হয়েছে।
তাই পানি বের হওয়ার কোন রাস্তা নাই।
তবে পৌরসভা নাগরিকদের একমাত্র পৌরসভার ড্রেন ভরসা হলেও নির্মাণকৃত ড্রেনের ৮০ ভাগ কোন মাথামুণ্ডু নেই।
১৯৭১ সালের দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে রাজনৈতিক দলের নেতারা মদন উপজেলা চেয়ারম্যান বা মেয়র নির্বাচিত হলেও তারা শক্তিশালী ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে পারেননি।
অথচ ড্রেন নির্মাণের নামে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা লোপাট করা হয়- এমন কথাও ক্ষোভের সঙ্গে পৌরবাসীকে বলতে শোনা যায়।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে,২০০০ সালে মদন পৌরসভা গঠিত হয়। এ পর্যন্ত ৪জন রাজনৈতিক দলের নেতা মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু পরিকল্পিত ড্রেন উন্নয়নে কেউ কার্যকর ভূমিকা পালন করেননি বলে অভিযোগ পৌরবাসী।
দ্বিতীয় শ্রেণির মদন পৌরসভার মোট আয়তন ১০.১১ বর্গকিলোমটিার।
৯টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত মদন পৌরসভায় ৪৯৩০টি পরিবার ২০ হাজার লোকের বসবাস।
পৌরসভার তথ্যবাতায়ন সূত্রে জানা গেছে, চলাচলের জন্য পৌর এলাকার ৫০% এর বেশিরভাগ ওয়ার্ডের রাস্তা কাঁচা মাটির রয়েছে।
হাল আমলে কাঁচা-পাকা ড্রেনের কোনো পরিসংখ্যান পৌরসভায় না থাকলেও পুরাতন তথ্য বলছে, মদন শহরে প্রায় ৫০ কিলোমিটার ড্রেন রয়েছে। এরমধ্যে ১০ কিলোমিটার পরিমাণ ড্রেনেজ আরসিসি ও কাঁচা ড্রেন ৪০ কিলোমিটার।
পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আজহারুল ইসলাম হিরু বলেন,
৬ নং ওয়ার্ডের আশকি পাড়াতে ড্রেনের কোনো ব্যবস্থা নেই। বাসাবাড়িতে বৃষ্টির পানি মিশে ড্রেনের ময়লা-আবর্জনা ভেসে মহল্লা একাকার হয়ে যায়।
তিনি অভিযোগ করেন, কোনোরকম পরিকল্পনা ছাড়াই পৌরসভার ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে উঠছে। ফলে পৌর নাগরিকদের জলাবদ্ধতা থেকে কোনো নিষ্কৃতি নেই।
মহিউদ্দিন মার্কেটের অনেক ব্যবসায়ী
জানান, নতুন বাজারে কাঁচা বাজার এলাকার থেকে শুরু করে মহিউদ্দিন মার্কেট পর্যন্ত ড্রেনের কোনো মাথামুণ্ডু নেই।
মার্কেটের পানি কোথায় গিয়ে পড়বে সে ব্যবস্থা ড্রেনে রাখা হয়নি। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলেই মহিউদ্দিন মার্কেটের দোকানপাটে পানি প্রবেশ করে।
৭ নং ওয়ার্ডের শ্যামলী রোডের বাসিন্দা উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির বর্তমান নায়েবে আমির রিয়াজ উদ্দিন ইদ্রিস মাস্টার বলেন, দেওয়ান বাজারে যাইতে রাস্তায় একটি বেলি ব্রিজ রয়েছে ব্রিজের নিচে
যে খাল ছিল এই খালটি বন্ধ হয়ে গেছে। বড় কোন ড্রেন না থাকার কারণে শ্যামলী রোড এলাকায় বাড়ি বৃষ্টি হলে জলবদ্ধতার সৃষ্টি হয় বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে যায় জনগণের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে মদন পৌরসভার উপ সহকারী প্রকৌশলী জামিল হাসান জানান, পৌরসভা স্বল্প পরিমাণ ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। বড় বাজেট না আসার কারণে আমরা সম্পূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থা করতে পারছি না।
এইজন্যই পৌরসভায় ভারী বৃষ্টি হলে পানি জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয় পরিকল্পনা রয়েছে যেদিকে বেশি জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয় সেই ড্রেনের কাজ সম্পন্ন করার জন্য।
মদন পৌরসভার পৌর প্রশাসক উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও অলিদুজ্জামান বলেন,
আজকের জলবদ্ধতা নিরসন করার লক্ষ্যে আমি সকাল ৯ টা থেকে ১ একটা পর্যন্ত পুরো পৌরসভা ঘুরে দেখেছি জলবদ্ধতা কোন কোন জায়গায় বেশি নতুন বাজেট আসলে এই এলাকার ড্রেনের ব্যবস্থা দ্রুত সম্পন্ন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
এর পরেও কিছু ড্রেন রয়েছে পৌরসভার নাগরিকের বাড়ি দিয়ে যায় এসব জায়গা নিয়েও সমস্যা রয়েছে সব মিলিয়ে অতি দ্রুত জলবদ্ধতা নিরসনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।