আল হেরা দাখিল মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

নিজাম উদ্দিন
স্টাফ রিপোর্টার:

কক্সবাজার(১০ই জুন) মঙ্গলবার চকরিয়া উপজেলার অন্তর্গত ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী আল হেরা দাখিল মাদ্রাসার ঈদ পুর্ণমিলনী অনুষ্ঠান সম্পন্ন

মাদ্রাসা জীবনের স্মৃতিচারণ করা মানে যেন এক অন্য জগতে ফিরে যাওয়া। সেই দিনগুলো ছিল অমূল্য, যেখানে আমরা শুধু পড়াশোনা করিনি, বরং জীবনের অনেক কিছু শিখেছি। ক্লাসরুমের ভেতরের আর বাইরের প্রতিটি মুহূর্তই ছিল শিক্ষণীয়।

ছাত্র জীবনের স্মৃতিগুলো আমাদের জীবনের ভিত্তি তৈরি করে। এই স্মৃতিগুলো আমাদের বেড়ে ওঠার গল্প বলে, যেখানে প্রতিটি বন্ধু, প্রতিটি শিক্ষক, আর প্রতিটি ঘটনা আমাদের আজকের আমিকে গড়ে তুলেছে।

ছাত্র জীবনের কিছু বিশেষ দিক:বন্ধুদের সাথে আড্ডা: টিফিনের সময় বা ছুটির পর বন্ধুদের সাথে গল্প করা, খেলাধুলা করা—এই স্মৃতিগুলো আজও মনকে সতেজ করে তোলে। স্কুল জীবনের বন্ধুত্ব অন্য সব বন্ধুত্বের চেয়ে আলাদা।
শিক্ষকদের স্নেহ: শিক্ষকরা শুধু পড়াতেন না, তারা আমাদের পথপ্রদর্শকও ছিলেন। তাদের বকুনি বা প্রশংসা, দুটোই আমাদের ভালো মানুষ হতে সাহায্য করেছে।বিশেষ ঘটনা: বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পিকনিক—এই ধরনের ঘটনাগুলো জীবনকে আরও রঙিন করে তুলেছিল।
মাদ্রাসা জীবনের স্মৃতিগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আমরা কোথা থেকে এসেছি এবং আমাদের শিকড় কতটা গভীরে প্রোথিত।

আমাদের জীবনে শিক্ষকদের অবদান আসলে বলে শেষ করা যায় না। তাঁরা শুধু বইয়ের জ্ঞান দেননি, বরং জীবনের পথে চলতে শিখিয়েছেন। তাঁদের দেখানো পথেই আমরা আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছি। শিক্ষকদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা চিরন্তন।

শিক্ষকরা আমাদের শুধু পড়াশোনা শেখাননি, তাঁরা আমাদের মূল্যবোধ শিখিয়েছেন, ভালো মানুষ হতে সাহায্য করেছেন। তাঁদের ধৈর্য আর ভালোবাসা ছাড়া আমরা হয়তো পথ হারাতাম।

তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানোর কিছু উপায় আছে:
তাঁদের নাম ধরে উল্লেখ করে তাঁদের বিশেষ অবদানের কথা বলা।তাঁদের শেখানো কোনো মূল্যবান শিক্ষা বা ঘটনার কথা স্মরণ করা।
তাঁদের প্রতি সম্মান ও ভালোবাসার কথা প্রকাশ করা।এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আমরা ঈদ পুনর্মিলনীতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি তাঁদের প্রতি, যাঁরা আমাদের আজকের অবস্থানে আসতে সাহায্য করেছেন।

প্রাক্তনদের ভূমিকা ও গুরুত্ব
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ মাদ্রাসা জন্য একটি অমূল্য সম্পদ। তাদের উপস্থিতি এবং সহযোগিতা মাদ্রাসার ঐতিহ্যকে আরও শক্তিশালী করে তোলে। এটি বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি অনুপ্রেরণা তৈরি করে যে, তারাও ভবিষ্যতে তাদের মাদ্রাসার জন্য কিছু করতে পারবে।উন্নয়নে প্রাক্তনদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা কেবল আর্থিক সহায়তা নয়, বরং জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমেও মাদ্রাসাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। মাদ্রাসার উন্নয়নে প্রাক্তনদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *