
সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার- জাহারুল ইসলাম জীবন।
ইসরাইলের এক বিতর্কিত ও অমানবিক সিদ্ধান্তে গাজা ভূখণ্ড আজ পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার গভীর সংকটের মুখে। ইসরায়েলী প্রতিরক্ষা বাহিনীর পক্ষ থেকে সকল আন্তর্জাতিক সংবাদকর্মীকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং ফ্লোরিনের মতো রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই গাজার ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠী পৃথিবীর বুক থেকে বিলীন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইসরাইলের এই চরম ও অন্যায় আচরণে বিশ্ববাসী হতবাক ও নীরব। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের এই নীরবতা ফিলিস্তিনিদের জীবন এবং গাজার অস্তিত্বের জন্য চরম হুমকি স্বরূপ। বিশ্বের প্রায় দুই বিলিয়ন মুসলমান এবং মুসলিম দেশগুলোর নেতারা তাদের নিজস্ব ক্ষমতা ও রাজতন্ত্র টিকিয়ে রাখার স্বার্থে আশ্চর্যজনকভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন। তাদের এই নীরবতা বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া যাচ্ছে, আমেরিকা সরাসরি ইসরায়েলের এই ধ্বংসলীলায় মদদ যোগাচ্ছে। অন্যদিকে, সৌদি আরবের মতো দেশ মধ্যস্থতার নামে কালক্ষেপণ করছে এবং প্রকারান্তরে আমেরিকা ও ইসরায়েলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে সহায়তা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাঁদের রাজতন্ত্রের ও ক্ষমতার আধিপত্য টিকিয়ে রাখার জন্য তারা মুসলিম বিশ্বের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে এমন প্রশ্ন-ই জোরালো ভাবে উঠে আসছে!-বিশ্বের সমগ্র সাধারন জনমনে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার সৃষ্টি হচ্ছে ।
ইসরায়েল ও আমেরিকার এই চরম ঐধার্য্যপূর্ণ নেক্কার ন্যাক্কার জনক সিদ্ধান্তের ফলস্বরূপ ফিলিস্তিন এবং গাজার পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের এই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিশ্বকে একটি মহাযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে যে কোন সময় নিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে এবং যুদ্ধের দামামা বাঁজতে শুরু করেছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং মুসলিম বিশ্বের নেতাদের অবিলম্বে তাদের নীরবতা ভেঙে ইসরায়েলের এই নিশংস বর্বরতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ। তা না হলে অনতিবিলম্বে খুব নিকটবর্তী সময়ের মধ্যে শুধুমাত্র ফিলিস্তিনের গাজা বাশি ও মধ্যপ্রাচ্য-ই নই গোটা পৃথিবীর মানবজাতি এক ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে পারে।