দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি একসাথে, ঝিনাইদহ হয়ে গেল বিশ্ব দুগ্ধ দিবস


ক্রাইম রিপোর্টার, ঝিনাইদহ জেলা
মোঃ রুহুল আমিন

সারা বাংলাদেশের ন্যায় এবারও ঝিনাইদহ জেলায় হয়েছে দুগ্ধ দিবস।
দুগ্ধের অপার শক্তিতে, মেতে উঠি একসাথে’ এ শ্লোগানে ঝিনাইদহে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস পালিত হয়েছে। দুধ হল স্তন্যপায়ী প্রাণীর স্তন্যগ্রন্থি থেকে উৎপন্ন অত্যন্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ এক প্রকার সাদা তরল পদার্থ। দুধ মানুষের একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য। অন্যান্য খাদ্যগ্রহণে সক্ষম হয়ে ওঠার আগে এটিই হল স্তন্যপায়ী(মানুষসহ যারা স্তন্যদুগ্ধপানকারী) শাবকদের পুষ্টির প্রধান উৎস। স্তন থেকে দুগ্ধ নিঃসরণের প্রাথমিক পর্যায়ে কোলোষ্ট্রাম সমৃদ্ধ শাল দুধ উৎপন্ন হয়, যাতে মায়ের দেহ হতে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শাবকের দেহে নিয়ে যায় এবং রোগাক্রান্ত হবার ঝুঁকি কমায়। এতে আমিষ ও ল্যাক্টোজ সহ অন্যান্য অনেক পুষ্টি উপাদান আছে। আন্তঃপ্রজাতির দুধ গ্রহণ করা অস্বাভাবিক নয়, বিশেষত মানুষের ক্ষেত্রে, যারা অন্য অনেকে স্তন্যপায়ী প্রাণীর দুধও গ্রহণ করে। যেমন মানুষ গরুর দুধ খায়।

রোববার (১ জুন) সকালে জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আয়োজনে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে একটি র‍্যালি বের করা হয়। ঝিনাইদহে দুধের উৎসব
র‍্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শিশু একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে শিশু একাডেমি মিলনায়তনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। ওই সময় বক্তারা সুস্থ প্রজন্ম গড়তে নিয়মিত দুধ পানের অভ্যাস গড়ার ওপর গুরুত্ব দেন। পাশাপাশি খামারিদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত এবং দুগ্ধ শিল্পের টেকসই উন্নয়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।এতে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল, পুলিশ সুপার মঞ্জুর মোর্শেদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আতিকুজ্জামানসহ খামারিরা বক্তব্য রাখেন।কৃষিজাত পণ্য হিসাবে, খামারের পশু হতে গর্ভাবস্থায় এবং গর্ভাবস্থার পর যত দ্রুত সম্ভব গরু থেকে দুধ দোহান হয়। ২০১১ সালে দুগ্ধ খামারে প্রায় ২৬ কোটি গাভী থেকে ৭৩ কোটি টন দুধ উৎপাদন করা হয়। ভারত পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি দুধ উৎপাদনকারী এবং সামান্য ননি ছাড়া দুধ ও গুঁড়া দুধ রপ্তানিকারী দেশ। মোট দুধের ৫২.৫% ইউরোপ থেকে রপ্তানি করা হয়। তবে সবচেয়ে বেশি রপ্তানিকারক নিউজিল্যান্ড দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা জার্মানির প্রায় দ্বিগুন রপ্তানি করে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম দুগ্ধ পণ্য রপ্তানিকারক যথাক্রমে নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও যুক্তরাষ্ট্র। দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্যের সবচেয়ে সবচেয়ে বড় আমদানিকারক দেশ ছিল চীন এবং রাশিয়া। যখন তারা স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করে ২০১৬ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী দুধ সরবরাহে অবদান রাখছে। পানি (গ্রাম) ৮৭.৭, খাদ্যশক্তি(কিলো ক্যালরি) ৬৪, আমিষ (গ্রাম) ৩.৩, এ্যাশ (গ্রাম) ০.৭, ফ্যাট (গ্রাম) ৩.৬, কোলেস্টেরল (মিলিগ্রাম) ১১, পটাশিয়াম (মিলিগ্রাম) ১৪৪, ভিটামিন-এ (আই ইউ) ১৪০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *