গোবিন্দগঞ্জে কোরবানীর জন্য ৩৬ হাজার গবাদী পশু প্রস্তুত

খোকন চ্যাটার্জী, ক্রাইম রিপোর্টার গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) :

আসন্ন ঈদুল আজহার কোরবানি উপলক্ষে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ৩৫ হাজার ৫৮৪টি গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে উপজেলায় চাহিদা রয়েছে ২৪ হাজার ৮০০টি পশু।
আজ মঙ্গলবার সকালে “দৈনিক আজকের গোয়েন্দা সংবাদ” কে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
উল্লিখিত কোরবানিযোগ্য গরু-মহিষ-ছাগল ও ভেড়া বিক্রির জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ১৬টি হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি স্থায়ী ও ৬টি অস্থায়ী হাট রয়েছে। সম্প্রতি নাকাইহাট, মহিমাগঞ্জ, ফাঁসিতলা, কামদিয়া, বাগদা সহ আরও বিভিন্ন হাটে দেখা যায়, কোরবানি পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। এসব হাটে কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ষাঁড়, বলদ, মহিষ, গাভি, ছাগল ও ভেড়া ক্রয়-বিক্রয় করা হচ্ছে। আর ঈদের আগে শেষ হাটে বিক্রি জমে উঠবে বলে হাট ইজারাদার সূত্রে জানা গেছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারি সার্জন ডাঃ মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বছর কোরবানি উপলক্ষে উপজেলার ২ হাজার ৬৭০ খামারে ৭ হাজার ৪৩২ ষাঁড়, বলদ ৫৫১, গাভি ৪ হাজার ৫৩, মহিষ ৬১, ছাগল ২১ হাজার ৯১২ ও ভেড়া ১ হাজার ৫৭৫ টি মজুদ আছে।
পশুর হাটে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, বিগত বছরগুলোর ন্যায় এবারও প্রত্যেকটি পশুরহাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে তারা ঠকাবার শঙ্কায় ভুগছেন। হাটে আসা দালালরা মালিকদের সঙ্গে রফাদফা করে পশু হাতে নেন। ওই দামের চেয়ে বেশি বিক্রিত টাকা দালালদের পকেটে ঢুকছে বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন।
কামারদহ ইউনিয়নের ব্যাপারিপাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম খামারি বলেন, আসন্ন ঈদে আমার খামারে কোরবানিযোগ্য ৯টি গরু রয়েছে। গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়েছে। তবে এবার হাটে দাম ভালো থাকলে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আব্দুস সামাদ জানান, এ উপজেলায় কোরবানির চাহিদা মিটিয়েও অতিরিক্ত ১০ হাজার ৭৮৪টি কুরবানি পশু মজুদ আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *